একজন মানুষের কতটুকু জমি দরকার? এমন একটি প্রশ্ন রেখেছিলেন রুশ সাহিত্যিক লেভ তলস্তয়। এবং এর উত্তরও দিয়ে দিয়েছেন- মাত্র সাড়ে তিন হাত জমি। তবে আধুনিক ভোগবাদী সমাজে এই অমোঘ সত্যটি কয়জনই বা ধারণ করে। বরং গরিবের সম্পদ আত্মসাৎ করে আরও ধনী হওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। তবে এই সমাজে এর ব্যতিক্রমও আছে। তেমনই একজন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর চার্লস চাক ফিনে। এই ধনকুবের ব্যক্তি তার সব সম্পত্তি দান করে দিয়ে। তার দান করা টাকার অঙ্কটাও ৮০০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
চাক ফিনে তার সব সম্পত্তি দান করার স্বপ্ন দেখছিলেন অনেক দিন ধরেই। নিজের সম্পত্তি আরও বাড়ানোই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল না তার। বাঁচার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনের অতিরিক্ত উপার্জিত অর্থ দান করতে চেয়েছিলেন তিনি।
ছাত্রজীবনেই কলেজের সহপাঠী রবার্ট ওয়ারেল মিলানের সঙ্গে একটি ডিউটি ফ্রি শপ খোলেন তিনি। বিমানবন্দরে খুচরা দোকানের এই চেন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। আর দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে ফিনের ব্যবসা। আস্তে আস্তে যুক্তরাষ্ট্রে কোটিপতিদের তালিকায় ঢুকে পড়েন তিনি। তবে তার স্বপ্ন ছিল, জীবদ্দশাতেই জীবনের সব রোজগার দান করে যাবেন। কয়েক বছর আগেই এই কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে নিজের ৮০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি দান করেছেন ফিনে।
এ ব্যাপারে ফিনে বলেন, টাকার ব্যবহার অন্যরকমভাবে করতে চেয়েছিলাম। এই কাজ আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে। স্বপ্ন পূরণ করতে পারায় আমি খুব খুশি।
তিনি আরও বলেন, সম্পদ দায়িত্ব বাড়ায়। এই চিন্তা থেকেই নিজের সম্পত্তি দান করে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করা।
আনন্দবাজার/টি এস পি