হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। বস্তায় এক শ’ থেকে দুই শ’ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে চাল। হঠাৎ চালের এই মূল্য বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পাইকারি বাজারে ২ টাকা বাড়লেও খুচরা বাজারে বেড়েছে অন্তত ৩-৪ টাকা করে।
গতকাল রাজধানীর বাদামতলী আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বস্তায় এক শ’ থেকে দুই শ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। জানা গেছে, ইরি ২৮ চাল কেজিতে ২ টাকা এবং বস্তায় এক শ’ থেকে দেড় শ’ টাকা, মিনিকেট বস্তায় দুই শ’ টাকা বেড়েছে। আগে মিনিকেট ছিল দুই হাজার ৫০০ টাকা, যা বর্তমানে দুই হাজার ৭০০ টাকা। পাইজাম কেজিতে বেড়েছে বস্তায় দেড় শ’ টাকা। নাজিরশাইল কেজি ৫৬ টাকা, বস্তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৮০০ টাকায়। আগে যা ছিল দুই হাজার ৬০০ টাকা। কাটারি বর্তমানে কেজি ৮০ টাকা এবং বস্তা চার হাজার টাকা। আগে ছিল তিন হাজার ৮০০ টাকা। চিনিগুঁড়া ৮৫ টাকা কেজি এবং বস্তা চার হাজার ২৫০ টাকা, বাসমতি ৬০ টাকা কেজি এবং বস্তায় তিন হাজার ৫০ টাকা।
বাবুবাজার কদমতলী চাল আড়তদার সমিতির সেক্রেটারি হাজী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, গত দুই সপ্তাহে কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে চালের দাম। বস্তায় দেড় শ’ থেকে দুই শ’ টাকা। এটি নাগালের বাইরে নয়। অথচ পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
বাদামতলীর সরকার, বিসমিল্লাহ, অন্তু ও সেন্টুসহ একাধিক চালের আড়তদার জানান, মোকামে চালের দাম বেড়েছে; যে কারণে তাদেরকেও দাম বাড়াতে হয়েছে। প্রতি বছর এ সময়টা হলে চালের দাম দু-এক টাকা কেজিতে বাড়ে।
এ দিকে ভোক্তারা দাবি করেন খুচরা মার্কেটে চালের দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। খুচরা মার্কেটে কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়েছে এমনও অভিযোগ করেন অনেকে।
রাজধানীর গোপীবাগের চাল ক্রেতা তোফাজ্জল বলেন, গত সপ্তাহে যে চাল কিনেছি ৪২ টাকায়, এ সপ্তাহে সেই চাল কিনতে হয়েছে ৪৫ টাকা কেজিতে। প্রথম বাড়ল পেঁয়াজের দাম। এরপর তেলের। এখন বাড়ানো হলো চালের দামও। মানুষ বাঁচবে কেমনে!
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস