ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব শান্তি দিবস, শান্তি বিশ্ববাসীর হোক

মোঃ আশিকুর রহমান (সৈকত)

আজ ২১ সেপ্টেম্বর। বিশ্ব শান্তি দিবস বা আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস। জাতিসংঘ কর্তৃক প্রস্তাবিত একটি আন্তর্জাতিকভাবে পালিত দিন যা এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত বিশ্বের সকল দেশ ও সংগঠন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালিত হয়ে থাকে। ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ স্লোগানকে ধারণ করে একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত নম্বর ৩৬/৬৭ প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের “তৃতীয় মঙ্গলবার” জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে “আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে, ২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত ৫৫/২৮২ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর “আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস” হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০০২ সাল থেকে ২১ সেপ্টেম্বরে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

শান্তি শব্দটা উচ্চারিত হলে পৃথিবীতে প্রথম যে দেশের নাম আসে সেটি হচ্ছে ইউরোপ মহাদেশের দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ড, পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স বা বিশ্ব শান্তি সূচকের (জিপিআই) হিসেব অনুযায়ী, গত ১১ বছর ধরে পৃথিবীর সবচাইতে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে প্রথম স্থান অধিকার করে আসছে ইউরোপের অন্যতম ক্ষুদ্র দেশটি। ২০০৮ সাল থেকে এই অবস্থান ধরে রেখেছে আইসল্যান্ড। শুধু তাই নয়, তালিকায় থাকা শীর্ষ ৪টি দেশের তুলনায় কম সামরিক শক্তিস¤পন্ন এই দেশটি। আইসল্যান্ডের পরেই অবস্থান- নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল ও ডেনমার্কের।

একটি দেশ কতটা শান্তির তা পর্যালোচনা করার জন্য সেই দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রের অবস্থা, যেমন- সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং এরকম সকল ক্ষেত্রের অবস্থাই দেখা হয়ে থাকে।

ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দ্বীপরাষ্ট্রটি যেসব কারণে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় প্রথমে তার অন্যতম কারণ হচ্ছে দেশটিতে নেই কোনো শ্রেণিভেদ। অধিবাসীদের মধ্যে ধনী-গরিবের কোনো ভেদাভেদ নেই। ৯৭% নাগরিক নিজেদের মধ্যবিত্ত বলেই আখ্যায়িত করে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে নেই কোনো আর্থিক অস্থিতিশীলতা। তারা তাদের সন্তানদের একই ধরনের স্কুলে পাঠান এবং খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন। আবার তাদের মধ্যে ধর্মীয় কোনো বিষয় নিয়েও উত্তেজনা নেই। দেশটির ৮০% নাগরিকই ইভানজেলিকাল “লুথেরান” ধর্মে বিশ্বাসী। প্রায় দশ হাজার মুসলিমও রয়েছে আইসল্যান্ডে। এছাড়া রয়েছেন অন্যান্য ধর্মের মানুষও।

দেশটিতে নেই কোনো নেই লিঙ্গ বৈষম্যও। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি এর তালিকা অনুসারে, আইসল্যান্ড পর পর ৭ বছর ধরে লিঙ্গ সমতার দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে। ১৪৪টি দেশের তালিকায় এই ছোট দেশটি শিক্ষা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থানটি বেশ পোক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের প্রায় শতকরা ৬৬ ভাগ নারী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত।

তবে দেশটিতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ পুরুষদের তুলনায় বেশি। পার্লামেন্টের ৬২টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসনই নারীদের অধীনে অর্থাৎ শতকরা ৪৮ ভাগ ক্ষমতা নারীদের হাতে। এছাড়াও দেশটির ৮০ ভাগ নারীই বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে জড়িত। পারিবারিক ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যতামূলক পিতৃত্বকালীন ও মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। ১৯৮০ সালে ভিগদিস ফিনবোগাদোত্তির শুধু আইসল্যান্ডের নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় আসেন।

এমনকি আইসল্যান্ডের নেই কোনো সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ। এই দ্বীপরাষ্ট্রটির জনসংখ্যা মাত্র তিন লাখ ৩৪ হাজারের কাছাকাছি এবং সবাই-ই বেশ শান্তিপ্রিয়। এই দেশ রাজনৈতিকভাবেও বেশ নিরপেক্ষ। তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য বেশি কষ্ট করতে হয় না। তবে তারা এখনও একটি ছোট উপক‚লীয় বাহিনী বহাল রেখেছে যেখানে তিন থেকে চারশ’ সৈনিক, ৪টি যুদ্ধবিমান এবং ৩টি পেট্রোল মজুদ করা জাহাজ আছে।

এছাড়া, তারা নিরাপত্তার জন্য ন্যাটোর সদস্য হিসেবেও সই করেছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তিও আছে। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র কখনও আইসল্যান্ডে হামলা করবে না। ১৯৪৪ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই ৭৪ বছরে এভাবেই দেশটি আছে এবং এই অবস্থা কেউ পরিবর্তনের চেষ্টাও করেনি। অন্য একটি বিষয় হলো আইসল্যান্ডবাসীর মধ্যে খুন করার প্রবণতাও অনেক কম। প্রতি বছর শতকরা ০-১.৫% খুনের ঘটনা দেখা যায়। এছাড়া কোনো বড় অপরাধ তো দূরের কথা, ছোটখাটো চুরিও সেখানে বিরল ঘটনা। তাই পুলিশের বেশি একটা দরকার পড়ে না।

বিশ্বের চতুর্থ সুখী দেশ হচ্ছে এই আইসল্যান্ড। গত বছরের তুলনায় এক ধাপ পিছিয়ে গেলেও এখনও বিশ্বের শীর্ষ ৫টি সুখী দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা আইসল্যান্ড যেসব ইতিবাচক দিকগুলোর জন্য এই অবস্থান অর্জন করেছে সেগুলোর মধ্যে আছে- তুলনামূলক কম আয়কর, বিনামূল্যে শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা ইত্যাদি। মূলত কোনো দেশের নাগরিকদের মধ্যে ৬টি নির্দেশকের উপস্থিতির ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি হয়। যেমন- মাথাপিছু জিডিপি, সুস্থভাবে জীবনযাপনের আয়ুষ্কাল, সামাজিক সহায়তা, বিশ্বাস, নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া বা স্বাধীনতা এবং উদারতা।

এছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে যার জন্য আইসল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হতে পেরেছে। তাদের কাছ থেকে যদি অল্প কিছুও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি তাহলে হয়তো বাংলাদেশও “বিশ্ব শান্তি সূচক” এর ১৬৩টি দেশকে নিয়ে তৈরি তালিকার ১০১তম অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সামনে অগ্রসর হতে পারবে। ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্রটি সারা বিশ্বের জন্য শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের এক অনন্য উদাহরণ।

বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বর্তমানে ৯৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বৈশ্বিক শান্তি সূচকে (জিপিআই) বাংলাদেশের কেয়ক ধাপ উন্নতি হয়েছে। গত বছর বিশ্ব শান্তির এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম থাকলেও এবার চার ধাপ এগিয়েছে। গত বছরের মতো এবারও বৈশ্বিক এ সূচকে ভারত (১৩৯তম), পাকিস্তানের (১৫২তম) চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) বিশ্ব শান্তি সূচক-২০২০ তৈরি করেছে। সূচকে বিশ্বের স্বাধীন ১৬৩টি দেশের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, অর্থনৈতিক মূল্য, ট্রেন্ড এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে দেশগুলোর নেয়া পদক্ষেপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়। এবার বিশ্ব শান্তিসূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশের। সামগ্রিকভাবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ অগ্রগতি নিয়ে বাংলাদেশের স্কোর এ বছর ২ দশমিক ১২১। তিনটি মাপকাঠির সব কয়েকটিতেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে জিপিআই বলছে, সবচেয়ে বড় উন্নতি ঘটেছে সামাজিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায়। বিরোধী দল বিএনপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সংখ্যা কমে আসায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় উন্নতি দেখেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বৈচিত্র্য স¤প্রীতির দেশ। ১৬ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকের বসবাস। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই মুসলিম, বাকি ১০ ভাগের মধ্যে রয়েছে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের লোক। জাতি, ধর্ম ও ভাষার পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশে তাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সাধারণত বিঘিœত হয়নি। নৃ-গোষ্ঠীগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। যেমন উত্তরে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী আর পার্বত্যা লে চাকমা, মারমা, মুরং, হাজং প্রভৃতি বসবাস করে। যুগ যুগ ধরে পার¯পরিক প্রতিবেশী স্বরূপ স¤প্রীতির সাথে বাঙালিদের পাশাপাশি বসবাস করছেন তারা।

পৃথিবীতে বহু ধর্মের মানুষ রয়েছেন। কালের বিবর্তনের অনেক ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে। তবে বর্তমানে খুব অল্পসংখ্যক ধর্মই টিকে আছে। জানা যায় পৃথিবীতে বর্তমানে চার হাজার ৩০০ ধর্মের অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবীর সকল ধর্মই মানবতার কল্যাণ ও শান্তির কথা বলে। ইসলাম ধর্মে শান্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি ইসলাম ধর্মের অন্যতম মূলনীতি। ইসলাম শব্দটি সালাম ও “সিলম” শব্দ থেকে এসেছে যেগুলোর অর্থ হল যথাক্রমে শান্তি এবং আত্মসমর্পণ। ব্যাপকার্থে, শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল­াহর নিকট নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করাকেই ইসলাম ধর্ম হিসেবে সঙ্গায়িত করা হয়। এছাড়া ইসলামকে বোঝাতে “রিলিজিয়ন অব পিস” বা “শান্তির ধর্ম” শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আল­াহর ( “ঈশ্বর” শব্দের আরবি বিশেষ্য, এক এবং অদ্বিতীয় ) নিকট আত্মসমর্পণের ভিত্তি হল নম্রতা। ইসলাম মতে, কোন ব্যক্তির নিজস্ব কোন নম্র আচরণ সহিংসতা বর্জন ও শান্তির উদ্দেশ্যে তা অভিমুখীকরণ ব্যতীত পরিপূর্ণরূপে স¤পন্ন হবে না। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন যে, কেবলমাত্র সকল প্রকার দুঃখ-দূর্দশা শেষে শান্তি লাভ করা সম্ভব। দুঃখ থেকে পরিত্রাণ লাভ কর ও শান্তি লাভ কর – বৌদ্ধদের দার্শনিক মতবাদের চারটি মহৎ গুণাবলীর অন্যতম একটি হিসেবে স্বীকৃত। ইহুদী এবং খ্রীষ্টানগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে, একমাত্র ঈশ্বরের সাথে ব্যক্তিগত স¤পর্ক ও সান্নিধ্য স্থাপনের মাধ্যমেই প্রকৃত শান্তি আসবে। যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, তোমাদের শান্তিকে নিয়ে আমি চলে যাচ্ছি; আমার শান্তি আমি তোমাদেরকে দিব। বৈশ্বিকভাবে যে শান্তি তোমরা কামনা করছ আমি সে শান্তি দিব না। তোমরা ভেঙ্গে পড়ো না এবং ভীত-সন্ত্রস্ত হইও না। – জন (১৪:২৭)

শান্তির স্বপক্ষে চিরজাগরুক ব্যক্তিত্ব মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র বার্মিংহ্যাম কারাগার থেকে এক চিঠিতে লিখেছেন যে, ‘সত্যিকারের শান্তি কেবলমাত্র উদ্বিগ্নেরই অনুপস্থিতি ঘটায় না; বর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও উপস্থিতিজনিত কারণে হয়ে থাকে।’ ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রদত্ত এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি দুনিয়ার প্রত্যেক রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই, কারো সাথে দুশমনি করতে চাই না। সকলের সাথে বন্ধুত্ব করে আমরা শান্তি চাই।

পুরো পৃথিবীতে বিশ্ব শান্তি দিবস পালন করা হচ্ছে তিন যুগ ধরে। শান্তির সুবিশাল ছায়াতলে বাস করার জন্য সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের এই যে এত আকুতি আর আবেদন-নিবেদন, আসলে কেউ তাতে কোনো কর্ণপাত করছে বলে মনেই হয় না। কেননা বিশ্ব জুড়ে একটি অশুভ শক্তি আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। লম্বা সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সিরিয়াতে। খুব একটা সুখে নেই ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিনের মানুষ। এত এত অশান্তির ভিড়ে শান্তি খুঁজে বেড়ান মানুষ। বিশ্ব শান্তি দিবস পালন করা তখনই অর্থবহ হবে যখন পৃথিবী থেকে দারির্দ্য, যুদ্ধবিগ্রহ, বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ, নারী নির্যাতন, সড়ক দুর্ঘটনা, শরণার্থী সমস্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি চিরতরে বন্ধ করা যাবে। বাংলাদেশের জনগণ শান্তিতে বিশ্বাস করে, স¤প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা সংঘাত নয়, শান্তি চাই। আমরা সৃষ্টি চাই, ধ্বংস নয়। দিবসটিকে শুধু নামকাওয়াস্তে পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, বিশ্ব শান্তি দিবসের প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হোক। প্রতিটি দেশ আইসল্যান্ডের মতো হোক। পৃথিবী শান্তির হোক। শান্তি বিশ্ববাসীর হোক।

মোঃ আশিকুর রহমান (সৈকত)
শিক্ষার্থী
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

আনন্দবাজার/শাহী/আশিক

সংবাদটি শেয়ার করুন