ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রাহকের কাছে তিতাসের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা পাওনা

গ্রাহকের কাছে তিতাস গ্যাসের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি পাওনা। সার কারখানা, বিদ্যুৎ খাত, বাণিজ্যিক, ক্যাপটিভ, শিল্প খাত, আবাসিক এবং মৌসুমি গ্রাহকদের কাছে এ বকেয়া অনাদায়ী রয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিতে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। গত ১৫ মার্চ জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে জ্বালানি বিভাগের দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ বকেয়ার তথ্য উঠে আসে।

জানা গেছে, গতকাল রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির এক বৈঠকে গত বৈঠকের কার্যবিবরণীটি অনুমোদিত হয়। সেই কার্যবিবরণীতে এসব তথ্য উল্লেখ রয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এসব বকেয়া বিল দ্রুত আদায়  করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার পরও গ্রাহকদের সংযোগপ্রাপ্তির ব্যাপারটি নিয়েও আলোচনা হয়। বন্ধ থাকার পরও সংযোগ পাওয়ার নেপথ্যে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত। এসব অসাধু ব্যক্তিকে আইনের অধীনে এনে শাস্তির সুপারিশ রয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কার্যবিবরণী পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আট শ্রেণীর গ্রাহকের কাছে তিতাস সংযোগ লাইনের সহযোগিতায় গ্যাস সরবরাহ করে। এসব গ্রাহক শ্রেণীর কাছে মাসিক গড় গ্যাস বিক্রির পরিমাণ ১ হাজার ৪৮৭ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গেল বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্বালানি সরবরাহকারী এ সংস্থার গ্রাহক পর্যায়ে বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। বকেয়ার মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ৭৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং বেসরকারি গ্রাহকের কাছে ৩ হাজার ৮৮২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য প্রচার, লিফলেট বিতরণ, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার, নোটিস প্রদান এবং বিশেষ ক্ষেত্রে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে এই ব্যাপারে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার জানান, বিল যে পরিমাণ বকেয়া তা তিন-চার মাসের সমপরিমাণ। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। উত্তরে  টিজিটিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিল করার পর শিল্পের ক্ষেত্রে ৪৫ দিন, আবাসিকের ক্ষেত্রে ২১ দিন ও সিএনজির ক্ষেত্রে ২০ দিনের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এ সময় অনেকে বিল পরিশোধ না করার কারণে বকেয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি কমিটির সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, চলতি বছরের মধ্যে বকেয়া সমতা পর্যায়ে নিয়ে আসবেন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন