সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চল আল আহসা হাসাভি নামের লাল চালের জন্য বেশ পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই ধান চাষ। প্রতি বছর গ্রীষ্মের পর বিশেষ করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে আল আহসার কৃষকরা এই ধানের চারা রোপন করেন। এর আগেই তারা মাটি প্রস্তুত শুরু করেন।
পুরোপুরি পানিতে হাসাভি ধানের চারা রোপন করতে হয়। সপ্তাহে পাঁচদিনে এই ধানের গাছে পানি দিতে হয়। পানির অভাবের কারণে বিশ্বের বিরল এই লাল চালের ধানের জাত বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।
এটি ধানের চারা রোপণ করার সময় প্রচুর পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়। তবে এর শেকড় দীর্ঘ সময় পানি ধরে রাখতে পারে।
শর্করা, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই লাল চাল পুষ্টিগুণে ভরা। বাত এবং হাড়ের অসুস্থতা নিরাময়ে কার্যকরী এই হাসাভী ধান। এটি এমন একটি ফসল যা গরম অঞ্চলে জন্মে। কারণ এই ধান চাষে সর্বোচ্চ ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কম তাপমাত্রা হলে এটি বৃদ্ধিতে বাধা পায় এবং সম্পূর্ণরুপে বেড়ে উঠতে পারে না।
সৌদি কৃষক আব্দুল হাদি আল সালমান জানান, আমরা এই চাল উৎপাদন করি। নিজেরা খাই এবং অন্যদের খাওয়াই। কিছু বিক্রিও করি। এগুলো আমাদের কাছে স্বর্ণের মতো।
আনন্দবাজার/টি এস পি
