টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলাধীন ১১নং শোলাকুড়ী ইউনিয়নের পেগামারী গ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিতে আদিবাসীরা বংশপরম্পরায় বসবাস ও চাষাবাদ করে আসছেন। বনবিভাগের সহকারী কমিশনার জামাল হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বেগতকাল সোমবার আনুমানিক সকাল ১০টায় বিনা নোটিশে বাসন্তী রেমা’র ৪০ শতাংশ জমির কলা গাছ কেটে ফেলেছেন।
এরই প্রেক্ষিতে ফসল কাটা ও জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) এর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জন যেত্রার নেতৃত্বে স্থানীয় আদিবাসী জনতা বনবিভাগের দোখলা বিট অফিস ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
প্রতিবাদে আদিবাসী নেতৃবৃন্দরা দাবি করেন, ‘অবিলম্বে বন বিভাগের সহকারী কমিশনারকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসন্তী রেমাকে যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ যারা এই কাজে যুক্ত তাদের সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনসহ সমমনা বিভিন্ন সংগঠন ও স্থানীয় আদিবাসী জনতাকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহম্মদ জহিরুল হক বলেন, আমরা মাঝেমধ্যেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য টহল দিতে যাই। তখন যদি দেখি কেউ বনের ভেতর অবৈধভাবে আবাদ করে সেগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্ছেদ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজকেও টহলে যাওয়া হয় এবং সেখানে অবৈধ কলাবাগান দেখে তা কর্তন করা হয়। তবে আদিবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজকে বাকি কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। আদিবাসীদের সাথে আলোচনা করে বাকি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে/কে এইচ