সম্প্রতি টাঙ্গাইলে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শিশুর নাম শান্তা (৯)। টাঙ্গাইল সদরের মগড়া ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের সাদেক হোসেনের কন্যা। শান্তার পরিবারের অভিযোগ তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন – একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাজেদুর (২৩), আবুল কালামের ছেলে শরিফুল (১৬), হাকিমের ছেলে ইমন (১৭) ও শাজাহানের ছেলে আশিক (১৮)।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌধুরী মালঞ্চ মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, শান্তার চাচাতো ভাই রফিক জানিয়েছে, বুধবার দুপুরের পর থেকে শান্তাকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকালে বাড়ির অদূরে একটি জঙ্গল থেকে শান্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার অভিযোগ তার বোনকে ধর্ষনের পর হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছিল।
ছোট্ট শান্তার বাবা সাদেক হোসেন জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। লাশের ময়না তদন্ত শেষে মামলা করবেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, শান্তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। তবে চারজনকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।
আনন্দবাজার/শাহী/কবীর