ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক মাসে ৯ লাশ চুরি কেরানীগঞ্জের কবর থেকে

সম্প্রতি ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে একাধিক লাশ চুরির অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে ৪টি লাশ চুরি হয়। এর কয়েক দিন আগে চুরি হয় আরও ৫টি লাশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লাশ চুরির ঘটনায় ওই কবরস্থানে দাফনকৃতের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে দুশ্চিন্তা এবং লাশ চুরি হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মো. রুবেল নামে স্থানীয় এক তরুণ জানান, মুগারচর কবরস্থানে গত এক মাসে তিন দিনে ৯টি লাশ গায়েব হয়ে গেছে। এর আগে কখনো একসাথে এত লাশ চুরি হয়নি। আগে মাঝেমধ্যে কবর খোঁড়া দেখলে ভাবতাম হয়তো শিয়ালের কাজ। কিন্তু এবার সকালে এসে দেখি খোঁড়া কবরগুলোর মাটিতে মানুষের পায়ের ছাপ, পাশে পানির বোতল। প্রশাসনের কাছে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই।

আবুল হোসেন নামে এক প্রবীণ জানান, ‘দুই দিনে পাঁচটা কবর খোদাই পাইছি, লাশ কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে।

মিঠু হোসেন বলেন, কবরস্থানটি প্রায় দেড় শ বছরের পুরনো। ঐতিহ্যবাহী এ কবরস্থানে আশপাশের ২১টি সমাজের লোক কবর দিয়ে থাকে। রাত হলেই এ স্থানটা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ছেয়ে যায়। আলোর ব্যবস্থা নেই, হাঁটাচলা করা যায় না এখান দিয়ে। কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়ালটাও অনেক নিচু। উপজেলা প্রশাসন থেকে সোলার লাইটের ব্যবস্থা করলে এবং বাউন্ডারিটা উঁচু করে দিলে ভালো হয়।

কবরস্থান কমিটির সভাপতি সোলাইমান জামান বলেন, লাশ চুরি হওয়ার খবর পেয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কবরগুলো খুঁড়ে সেখানে কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। এর আগে লাশ চুরির কথা শোনা গেলেও তবে তখন কোনো প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু এবার লাশ চুরির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন এবং এলাকার মুরব্বিদের সাথে কথা বলে একটা বিহিত করব।

এদিকে, এভাবে এক মাসে ৯টি লাশ চুরির ব্যাপারটি এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। কেউ মারা গেলে তাদের কবরস্থ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

এই ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মইনুল ইসলাম বলেন, কবর থেকে লাশ চুরির ব্যাপারে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে লাশ চুরির ঘটনাটি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন