দইয়ের কথা উঠলে প্রথমেই চলে আসে বগুড়ার দইয়ের কথা। কারণ বগুড়ার দইয়ের খ্যাতি এখন সারাদেশেই। বর্তমানে দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বগুড়ার দই। কিন্তু অতি লোভের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী এই পণ্যকে ব্যবসায়িক কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছেন। ভেজাল পণ্য দিয়ে দই তৈরি করে অনলাইনে বগুড়ার নাম করে বিক্রি করছেন। এতে এতদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে বগুড়ার দই এর খ্যাতি অন্যদিকে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সেরা মানের পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ শিক্ষার্থী। দই বিক্রির পুরো লভ্যাংশ কষ্টে থাকা বগুড়ার দুস্থ, অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এমন উদ্যোগটির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বগুড়া জেলার বাসিন্দা আবুল বাশার মিরাজ বলেন, করোনাকালীন সময়ে বন্যার তান্ডবে বগুড়ার বেশ কিছু উপজেলার মানুষ অনেক কষ্টে জীবন কাটাচ্ছেন। দুবেলা দুমুঠো ভাত জুটছে না অনেকের। কষ্টে থাকা এসব মানুষের জন্য কিছু করার লক্ষ্যে বগুড়ার সেরা মানের দই নূন্যতম লাভে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। এই পণ্যটি কেনার মাধ্যমে যে কেউই এসব দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁতে পারবেন।
বগুড়ার দই সারাদেশে মানুষের কাছে কিভাবে পৌঁছাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে http://Rialto.com.bd এর প্রতিষ্ঠাতা মো. নাবিল তাহমিদ বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য সময়মত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। দুস্থ, অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁতে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও ‘হেল্প বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ এর সাথে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
বগুড়ার দইয়ের অর্ডার ও সরবরাহের বিষয়ে নাবিল তাহমিদ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বগুড়ার উৎকৃষ্ট মানের এই দই প্রথমে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর শহর থেকে প্রি-অর্ডার নেয়া হবে। এসব শহরগুলো থেকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। টাটকা দই ক্রেতার হাতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ ১২ তারিখে সকল প্রাহকের কাছে এক যোগে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, এটি হেল্প বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও রিয়ালটো বিডি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি সামাজিক কার্যক্রমের অংশ। আর বিক্রয়কৃত দইয়ের লভ্যাংশের পুরোটিই চলে যাবে বগুড়ার কষ্টে থাকা অসহায় মানুষের কাছে।
আনন্দবাজার/শাহী/বাশার