বেড়েই চলেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ। ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ঋণ দিয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মো. মশিউর রহমান রাঙ্গার তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এতথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।
সংসদে উত্থাপন করা তথ্যমতে, রাষ্ট্রায়ত্ব ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের আট হাজার ৪৬৭ কোটি, জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পাঁচ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ চার হাজার ৯০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সাত হাজার ১৫৬ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫৫৮ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে বিকল্প বিরোধী নিষ্পত্তি অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর আওতায় মামলা করা হচ্ছে। ব্যাংকসমূহ ত্রৈমাসিক রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ আদায়ে পিছিয়ে পড়া ব্যাংকসমূহকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে এবং ব্যাংকার্স সভায় ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করতে সময়ে সময়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পরামর্শ প্রদান করে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত খেলাপি গ্রাহকের নিকট হতে ঋণ আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১৬ মে বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ৫ ইস্যু করা হয়েছে। ওই সার্কুলারে সহজ শর্তে ঋণ পুনঃতফসিল এবং এককালীন এক্সিটের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস