শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঙ্গা হচ্ছে দেশের শিল্পখাত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধি ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে, বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প খাত আস্তে আস্তে করোনা মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প খাত। বিশ্বব্যাপী লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে এ খাতে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলেও চলতি বছরে জুলাই থেকে এটি আবার সচল হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, গত ১-২২ আগস্ট সময়ে বাংলাদেশ দুই দশমিক চার বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক আট শতাংশ বেশি।

গতকাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত ‘বৈশ্বিক উৎপাদন ও শিল্পায়ন সম্মেলন-২০২০’ এর অংশ হিসেবে ‘নীতিনির্ধারকদের চ্যালেঞ্জ: মন্দার মধ্য দিয়ে যাত্রা’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনের আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।

কভিড-১৯ উত্তরণে উৎপাদনশীল শিল্প খাতে ভ্যালু চেইনের উন্নয়নে বিশ্ব সম্প্র্রদায়ের করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর ফলে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ও উৎপাদনশীল শিল্প খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমএসএমই খাতের সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।

শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প উৎপাদন চালু ও নিররচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্প খাত ক্রমেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আগামী ছয় মাসের পর থেকে বাংলাদেশ করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে সক্ষম হবে বলে ইউনিডো পরিচালিত সাম্প্রতিক সমীক্ষার সঙ্গে তিনি একমত পোষণ করেন।

আরও পড়ুনঃ  যুদ্ধবিরতি: ইসরায়েলকে যে সকল শর্ত দিল হামাস

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন