দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র পাবনার রূপপুরে পদ্মার পাড়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। এটি বর্তমান সরকারের সাত মেগা প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প।
জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের সকল ভারী মালামাল প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানোর জন্য ২২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। তবে পৃথক এ রেললাইন ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অব পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত যাবে।
তবে এর বাইরেও একটি ‘বি’ শ্রেণির রেলওয়ে স্টেশন, সাড়ে চার কিলোমিটার লুপ লাইন, সাতটি কালভার্ট, গেটসহল সেই সাথেসিগন্যালিং ব্যবস্থাসহ ১৩টি লেভেল ক্রসিং থাকছে।
এই ব্যাপারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক এস জি লাসতোচকিন জানান, চলতি বছরের নানা সময়ে এই বন্দর দিয়েই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কম্পার্টমেন্টের নানা প্রয়োজনীয় অংশ, যেমন- ভিভিইআর-১২০০ চুল্লিপাত্র, চারটি স্টিম জেনারেটর এবং বিভিন্ন ভারী যন্ত্রপাতি ওঠানো-নামানোর জন্য পোলার ক্রেন সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যন্ত্র-সরঞ্জামবাহী কার্গো সমুদ্রপথে সেন্ট পিটার্সবার্গ ও নভোরোসিয়েস্ক থেকে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে। এরপর জাহাজে করে নদীপথে ঈশ্বরদীর নৌবন্দরে নেয়া হবে। সেখান থেকে নেয়া হবে পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণস্থলে।
রূপপুর প্রকল্প দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য একটি মাইলফলক। সময়মতো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে