রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার জন্য নিকটবর্তী পদ্মা নদীতে তৈরি করা বন্দর পুরোপুরি চালু হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোসাটম জানিয়েছেন, পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি এবং জ্বালানি তেল এই বন্দর দিয়ে আনা নেওয়া হবে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সহ-সভাপতি ও পরিচালক এস জি লাসতোচকিন বলেছেন, চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে এই বন্দর দিয়েই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কম্পার্টমেন্টের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অংশ যেমন, ভিভিইআর-১২০০ (VVER-1200) চুল্লিপাত্র, চারটি স্টিম জেনারেটর এবং বিভিন্ন ভারি যন্ত্রপাতি ওঠানো-নামানোর জন্য পোলার ক্রেন সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যন্ত্র-সরঞ্জামবাহী কার্গো সমুদ্রপথে সেন্ট পিটার্সবার্গ ও নভোরোসিয়েস্ক থেকে বাংলাদেশের মংলা বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে জাহাজে করে নদী পথে পদ্মার ওই নৌবন্দরে নেওয়া হবে। পরে সেখান থেকে নেওয়া হবে পরমাণু কেন্দ্র র্নিমাণস্থলে।
রোসাটম জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বন্দরটি তৈরি করতে সময় লেগেছে দেড় বছর। এর আয়তন ১৫০ বাই ৩৫০ মিটার। বছরের বিভিন্ন মৌসুমে নদীতে পানির গভীরতায় ১০ মিটারের পার্থক্য ধরে বন্দরটি তৈরি করা হয়েছে।
এমনকি শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীতে সর্বোচ্চ পরিমাণে পানি নিচে নেমে গেলেও বন্দরঘাটে সর্বনিম্ন সাড়ে তিন মিটার পানির গভীরতা থাকবে। এই গভীরতায় বছরের সব সময় সেখানে কাজ চলবে। বর্ষা মৌসুমে বন্দরে বড় আকারের জাহাজও ভেড়ানো যাবে।
বর্তমানে বন্দরটিতে দুটি ক্রেন রয়েছে, যেগুলো ৬৩ টন ধারণ ক্ষমতার। ৩০৮ টন ধারণ ক্ষমতার আরও দুটি ভারি ক্রেন এখানে যুক্ত করা হবে।
আনন্দবাজার/এফআইবি