সম্প্রতি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের নওধার গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সাহেবের বাসার সামনের সড়কে থাকা একটি পিকআপের ভেতর থেকে গতকাল সোমবার ভোররাতে আট ট্যাংকি মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বড়খলা গ্রামের রূপচান মিয়া (৩৫)নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে কিল ঘুষি মেরে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ব্যবসায়ী রূপচান মিয়া জানান, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বড়খলা গ্রামের সামনের মোড় থেকে আজ ভোর রাত চারটার দিকে বিভিন্ন জাতের আট ট্যাংকি মাছ ও তিনজন যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ভোর অনুমান সোয়া চারটার একই ইউনিয়নের নওধার গ্রামের বাসিন্দা এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বাড়ির সামনের সড়কে গেলে রামদা,দা এবং লাঠিসোটা নিয়ে ১০/১২জন ব্যক্তি আমাদের গাড়িটির গতিরোধ করেন ।
এ সময় পিকআপের ভেতরে থাকা তিনজন যাত্রীকে কিলঘুষি মেরে তারা নামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ সসময়ের মধ্যে পিকআপটির ওপর কয়েকজন গতিরোধকারীরা উঠে পড়েন। স্থানীয় সুনই ব্রীজের উপর পিকআপটি নিয়ে গিয়ে সেখানে এক লাখ ২০হাজার টাকা মুল্যের আমার আট ট্যাংকি মাছ লুট করে তাঁরা নিয়ে যান।এ সময় আমাকেও ওরা কিলঘুষি মেরেছে।
যারা এই লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এলাকায় খুবই উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। ততাঁদের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা রয়েছেন। মাছের ট্যাংকি নেওয়া লুন্ঠনকারীদের মধ্যে তিন -চারজনকে আমি চিনতে পেরেছি। থানা পুলিশের দিকে না গিয়ে ঘটনাটির সুবিচার পাওয়ার জন্য স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে আমি নালিশ জানিয়েছি। কিন্ত সুবিচার পাব কী না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। পাইকুরাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিকভাবে বসে আমরা ঘটনাটি মীমাংসা করা উদ্যোগ নিয়েছি। এমপি সাবের উপস্থিতে ঘটনাটি মীমাংসা করা হবে।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি আমাকে কেউ জানায়নি।খোঁজ নিয়ে দেখব।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে