সম্প্রতি পরিচালক ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর। জানা গেছে, টানা ১০ মাস হতে চললেও দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে পরিচালক পদে কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় ব্যাপক অব্যবস্থাপনায় চলছে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম। তবে বর্তমানে একজন উপপরিচালক বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু যেকোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হলে চেয়ে থাকতে হয় ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের দিকে। ওখান থেকে দিক নির্দেশনার দেওয়ার পরেই কাজ হয় এ বন্দরে।
বেনাপোল বন্দরকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে আনার পর গত ১৯ বছরে ১৩ জন পরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন। আর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেছেন ২ জন উপপরিচালক ৪ বার। উপসচিব মর্যাদায় এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর ২-৪ মাস কাজ করার সাথে সাথে বদলির তোড়জোড় করতে থাকেন কর্মকর্তারা। এর ফলে কেউ আসতে চান না এ বন্দরে। আবার কেউ আসলেও ৪ মাস, ৬ মাস বা এক-দেড় বছর থাকার পর তদবির করে চলে যান অন্যত্র।
এই ব্যাপারে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, প্রতিবছর এই বন্দর থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখানে অনেক যাবত অবকাঠামোর চিত্র বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এতে পণ্য খালাসে বিলম্ব ও অর্থনৈতিক ক্ষতিতে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
এখানে যেসব কর্মকর্তারা আসেন তারা আঞ্চলিকতার টানে এখানে খুব বেশিদিন থাকতে চান না। বেনাপাল বন্দরের রাজস্ব আয়ে অন্য বন্দর উন্নয়ন হলেও এখানে উন্নয়ন করা যতটুক প্রয়োজন তাও করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এখানে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের হাতে দাফতরিক ক্ষমতাও অনেক কম। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়রম্যানের নির্দেশ ছাড়া তারা কিছুই করতে পারেন না।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, একজন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা এখানে নিয়োগ দিলে তারা এখানে এসে কয়েকদিন পর বদলি হয়ে চলে যান। আবার অনেকে এখানে আসতেও চান না। বর্তমান বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের কাজ করছেন। আপাতত এখানে কোনো সমস্যা নেই। কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমরাই সেটার দ্রুত সমাধান করে দিচ্ছি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে