ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠি জেলায় ১০৬১০ হেক্টরের ফসল আক্রান্ত

অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ার ও অতিবৃষ্টির কারণে ঝালকাঠি জেলার নিমজ্জিত এলাকা থেকে পানি ধীর গতিতে নামতে শুরু করেছে। এই প্রাকৃতিক দূরযোগের কারণে ২১১৭৭ হেক্টরের দন্ডায়মান ফসলের মধ্যে ১০৬১০ হেক্টরের ফসল আক্রান্ত হয়েছে। মৎস্য সেক্টরে ৫০ আয়তনে ৭ শতাধিক পুকুর ও জলাশয় চাষ করা চাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় এই সেক্টরের ১ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জেলা মৎস কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা।

মৎস্য ও কৃষি ক্ষেত্রের ক্ষয়ক্ষতি মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে নিরূপন করার জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছে। কৃষি ক্ষেত্রে আমনের বীজ তলা পানিতে ডুবে থাকলেও ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা কম রয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা দাবি করেছে কারণ বীজ রোপন করার পর ১৫-২০ দিন পানিতে তলিয়ে থাকলেও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজীর ক্ষতি হয়েছে বিশেষ করে পেপে, লাউ ও লতা জাতীয় কৃষির।

ঝালকাঠি জেলায় আমন বীজতলা(উফশী) ৩১৭ হেক্টরের মধ্যে ১৮৬ হেক্টর আক্রান্ত হয়েছে, আমন বীজতলা (স্থানীয়)২৯৪৮ হেক্টরের মধ্যে ১৮৮৭ হেক্টের উফসী আমন ৬২০০ হেক্টরের মধ্যে ২২৮০ হেক্টর , স্থানীয়া আমন ৭০০০ হেক্টরের মধ্যে ৪৯৩০ হেক্টর, আউশ ধান ৭১৩২ হেক্টরের মধ্যে ২৯৫ হেক্টর আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৫৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন শাকসবজীর মধ্যে ১২৫০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

সরকার ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয় এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ মে.টন চাল ও ২ লক্ষ টাকা এবং ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্ধ করেছে। জেলা প্রশাসন জেলার ৪টি উপজেলায় ২০০ করে শুকনো খাবার উপ-বরাদ্ধ দিয়েছে।

আনন্দবাজারা/শাহী/বাঁধন

সংবাদটি শেয়ার করুন