ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন যামিনি বালা

প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে একবার দেখার শেষ ইচ্ছা ছিল পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের পূর্ব শিকারপুর গ্রামের বৃদ্ধা যামিনি বালা সেনের। কিন্তু সে ইচ্ছা পূরণ হবার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। বুধবার মধ্যে রাত ২ টায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। জীবিত অবস্থায় বৃদ্ধা যামিনি বালা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি অন্ধ ভক্ত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের ১৭ সদস্যর মৃত্যুতে গভীর ভাবে ভেঙ্গে পড়েন তিনি।এর পর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় ভিন্ন আঙ্গিকে প্রতি বছর শোক পালন করে আসছিলেন পঞ্চগড়ের যামিনী বালা সেন।
মৃত্যুর আগে তারই নির্দেশনায় প্রতি বছরের মতো এবারও গত ১৭ই আগষ্ট নিজ বাড়িতে ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নারায়ন পূজা ও কীত্তনের আয়োজন তার পরিবার। কেবল বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই বছরের পর বছর এই আয়োজন করে আসছে তার পরিবার। মৃত্যুর আগে কোন চাওয়া পাওয়া ছিলনা তার। শুধুই বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা থেকে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে একবার দেখার শেষ ইচ্ছা ছিল। সে ইচ্ছা পূরণ হবার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
এ দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের পারিবারিক শ্বশ্মানে বৃদ্ধার সৎকারের ব্যবস্থা করে তার সন্তানেরা।

যামিনি বালার ছেলে সত্যন্দ্রনাথ রায় (৫৫) বলেন,আমার মায়ের শেষ ইচ্ছা আর পূরণ হলোনা। তিনি বড়ই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন প্রধানমস্ত্রীকে একবার নিজ চোখে দেখবেন। কিন্তু তার আগেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আমার মা যেন স্বর্গবাসী হন সেই কামণা করি ভগবানের কাছে।

যামিনী বালার নাতি জগন্নাথ সেন (৩৫) বলেন, আমার ঠাকুরমার কাছ থেকেই আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নিয়েছিলাম। তার কোন চাওয়া-পাওয়া ছিলনা। শুধুই আরেক বার প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখার শখ ছিলো তার। দুই বছর আগে ঠাকুরগাঁয় প্রধানমন্ত্রী আসলে ঠাকুরমা তাঁকে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ্য থাকায় আমরা তাকে নিয়ে যেতে পারিনি। তিনি বাসা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আশীর্বাদ জানিয়েছিলেন। যেন তার বাবার মতো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। ঠাকুরমার শেষ আশা পূরণ হবার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

আনন্দবাজার/শাহী/রায়হান

সংবাদটি শেয়ার করুন