সীমান্তনদী জাদুকাঁটায় অবৈধভাবে বালু পাথর উক্তোলন বন্ধে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা পুলিশের আয়োজনে আইনশৃস্খলা বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (বিপিএম)’র নির্দেশনায় মঙ্গলবার (১৯-০৮-২০২০) থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে বালু পাথর ব্যবসায়ী, শ্রমিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের অংশগ্রহনে ওই সভা অনুষ্টিত হয়। উপজেলার উওর বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ওসি বলেন, করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, জেলা প্রশাসন হতে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় তাহিরপুরের জাদুকাটা, মাহারাম, শান্তিপুর সহ যে কোন নদী, হাওর, পাহাড়ি ছড়ায় বালু পাথর উক্তোলন, পরিবহন ইজারা প্রদান, টোল ট্যাক্স আদায় অনিদ্রিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এরপরও কতিপয় দুবৃক্তরুপী চাঁদাবাজ চক্রের প্রশ্রয়ে জাদুকাটা নদীর তীর,নদী মধ্যবর্তী চরের মালিকানা দাবি করে প্রায় রাতেই ব্যবসায়ী নামধারী অসাধু চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে নদী তীর কেটে, চর হতে অবৈধভাবে বালু পাথর উক্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগ করেছেন নানা শ্রেণিপেশার লোকজন।
ইতিপুর্বে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ যৌথভাবে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে এ দূষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের, বালু বোঝাই ট্রলার জব্দ কর, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড আদায়ের পরও থামছে না রাতের আঁধারে অবৈধভাবে চুরি করে বালু পাথর উক্তোলন অপতৎপরতা।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা বলকৎ থাকাকালীন সময়ে জাদুকাটা, মাহরাম নদী,শান্তিপুর পছাশইল হাওরসহ সব পাহাড়ি ছড়ায় অবৈধভাবে বালু পাথর উক্তোলনকারী, ক্রয়-বিক্রয়কারী, চাঁদাবাজচক্র কতৃক বেআইনি ভাাবে নদী তীর, চরের মালিকানা দাবিদারদের যে কোন ধরণের অপতৎপরতা বন্ধে আইনশৃস্খলা রক্ষায় পুলিশ এবং থানা পুলিশ এবার কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, থানার এসআই পাপেল রায়, ফাঁড়ি সহকারি ইনচার্জ এএসআই রাজু বিশ্বাস, উওর বড়দল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, বালু পাথর ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ রয়েল, হুমায়ুন কবির, ওয়াজ উদ্দিন, তোয়াছ উদ্দিন, রানু মিয়া,মজিবুর রহমান, কিরন রায়, আবু লাহাব, মাহমুদ শাহ, শ্রমিকনেতা আব্দুস সাহিদ আজাদ প্রমুখ।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে