ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মপাশায় বন্যার পানিতে ধসে গেছে বিদ্যালয়ের বারান্দা

 সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের হাওর এলাকার নওয়াগাঁও মলয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের বারান্দার নীচের অংশের মাটি সরে গিয়ে ভবনের বারান্দার পুরো মেঝের অংশ ধসে গেছে। এ অবস্থায় ভবনটির দ্রুত সংস্কার এবং মেরামত করা না হলে পুরো ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডির) অধীনে ২০০৪_২০০৫ অর্থবছরে উপজেলার নওয়াগাঁও মলয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির চারকক্ষ বিশিষ্ঠ একটি পাকা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এটি হাওরের তীর ঘেঁষে অবস্থিত। এ উপজেলায় পর পর তিনবার বন্যা দেখা দেয়। বন্যার কারণে বিদ্যালয়ে ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। এ অবস্থায় হাওরের প্রবল ঢেউ এবং বন্যার পানিতে বিদ্যালয়টির ভবনের বারান্দার নীচের অংশে থাকা মাটি সরে যায়। এতে করে গত ৪আগস্ট সকাল ১১টার দিকে আকস্মিকভাবে বারান্দার মেঝের অংশটি ধসে পড়ে।

ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ও অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়টির ভবনের বারান্দার অংশ ধসে গেছে। এটি এখন শিক্ষার্থীদের পাঠদানের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত এটি সংস্কার এবং মেরামত করা না হলে যে কোনো মূহুর্তে ভবনটির পুরো অংশ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এই ব্যাপারে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমিত্রা সরকার জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনের বারান্দার অংশটি ধসে যাওয়ায় ঘটনাটি আমি সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিজয় স্যারকে জানিয়েছি। দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবনটি সংস্কার এবং মেরামত করা প্রয়োজন।

সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ বলেন, আমার ইউনিয়নটি হাওরবেষ্ঠিত। নানাবিদ সমস্যার কারণে এই ইউনিয়নে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের অগ্রগতি খুব একটা সন্তোষজনক নয়। দ্রুত ওই বিদ্যালয়ের ভবনটির বারান্দাটি সংস্কার ও মেরামত করাসহ এই ইউনিয়নে শিক্ষকজনিত সমস্যার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সঙ্গে খুব শিগগিরই আমি কথা বলব।

সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিজয় সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমি গত ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে ওই বিদ্যালয়টি আমি পরিদর্শন করেছি। ভবনের বারান্দার পুরো অংশ ধসে গেছে। দ্রুত ভবনটির বারান্দার অংশটি সংস্কার ও মেরামত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ওইদিনই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আরিফ উল্লাহ খান জানান, ভবনের বারান্দার অংশটি ধসে যাওয়ার খবরটি কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন,বিদ্যালয়টি খোলার পর ভবনজনিত সমস্যার কারণে যাতে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত না হয় সে জন্য বিষয়টি সমস্যার সমাধানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন,এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেয়েছি। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।#

আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ এম এইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন