গাজীপুরের শ্রীপুরে ব্যাটারি চালিত অতিরিক্ত অটো রিক্সার কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুত করার লক্ষে পায়ে চালিত রিক্সা বাদ দিয়ে বর্তমানে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
মানুষের কাছে প্রথমদিকে অটোরিক্সাগুলো স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে এগুলোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্রীপুর উপজেলাসহ আশেপাশের উপজেলার মানুষের জন্য।মহাসড়ক অভ্যন্তরীণ সড়ক, ও সংযোগ সড়কগুলোতে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চলাচল ক্রমেই বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট এবং বাড়ছে দূর্ঘটনা।
অটোরিক্সা চলাচল ও তৈরি বন্ধের জন্য ৬ মাস আগে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। সেইসময় সকল রিক্সার লাইসেন্স করতে বলা হলেও হাতেগোনা কয়েকটা ছাড়া বাকিগুলো কোনো লাইসেন্স ছাড়াই চলতে থাকে। তখন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এসকল রিক্সা তৈরির সকল কারখানা ও গ্যারেজ বন্ধ করা হয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনের সামনেই চলছে সকল কারখানা এবং বানানো হচ্ছে অজস্র অটোরিক্সা। একটি বেসরকারি জরিপে দেখা যায় শ্রীপুর ও আশেপাশের দুটি উপজেলাতে প্রায় ৯হাজার অটোরিক্সা চলাচল করে। এগুলো রিকশার লাইসেন্স তো দূরের কথা কোনো দক্ষ চালকও নেই।
ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক, সংযোগ সড়ক এবং উপজেলার মেইন রোডগুলোতে অটোরিক্সার অবাধ চলাচলে প্রতিনিয়তই জ্যামের সৃষ্টি হয়। রিক্সাগুলো ব্যাটারি চালিত হওয়ায় এগুলো চার্জ করতে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয়। যার ফলে বিদ্যুৎ ঘাটতি ও লোডসিডিং বেড়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে রিক্সাগুলোতে দক্ষ চালক না থাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে রিক্সা চালানোর কারনে রিক্সা দূর্ঘটনা কয়েকগুন বেড়ে গেছে।
ঘনঘন দূর্ঘটনার ফলে যাত্রীদের মনে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।ব্যাটারি চালিত এসব অটোরিক্সা অবিলম্বে বন্ধ করে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ চালক দ্বারা সীমিত আকারে শুধুমাত্র সংযোগ সড়কে রিক্সা চালানোর দাবি করেন সাধারন মানুষ। তবে বেকার হওয়ার পর তাদের কারণেই সমাজে চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই, যারা রিক্সা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করে পরবর্তীতে তাদেরকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে বলে জানান সমাজবিদরা।
আনন্দবাজার/শাহী/মহী