সরকার পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শেষে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে এবং জনস্বার্থে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) নিয়োগ দিচ্ছে। অটোমেশন পদ্ধতিতে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টোল আদায়ে একটি মাইলফলক সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে সরকার।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার (১২-০৮-২০২০) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভায় এ প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, আজকের অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত সভায় দুই প্রস্তাব উত্থাপিত হলে দুটি প্রস্তাবই নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের লক্ষ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে সার্ভিস প্রভাইডার নিয়োগের সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) কন্ট্রাক দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেইসি কোরিয়ার অলমোস্ট সব টোল ম্যানেজ করে। বর্তমানে আমরা টোল ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে আছি, যদি এদের আমরা পাই তাহলে টোল ব্যবস্থাপনায় একটি মাইলফলক সৃষ্টি হবে। সেজন্য জাতীয় স্বার্থে আমরা এ প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছি।
তবে দু’টি শর্তসাপেক্ষে তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম শর্ত হচ্ছে Ñএকনেকে যে প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা কোনভাবেই বাড়ানো যাবে না। তাছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কোনো ক্রয় প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগে সে অনুমোদনও নিতে হবে। এ দুটি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে