তেল সেক্টরের সাথে কখনই জড়িত ছিলেন না মতিউর রহমান মতি।
বাংলাদেশ ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন গোদনাইল মেঘনা শাখার সভাপতি শ্রমিকনেতা আশরাফ উদ্দীন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন গোদনাইল মেঘনা ডিপো শাখার সভাপতি। আমি বিএনপির কোন রাজনীতিতে কখনও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় সম্পৃক্ত ছিলাম না। একটি কুচক্রী মহল সাম্প্রতিক সময়ে আমার নামে সম্মানিত সাংবাদিক সমাজকে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে এলাকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি গোলাকরে তারা ব্যক্তি নিজের ফায়দা লুন্ঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘আমি বিএনপি করেছি কেউ দেখাতে পারবে না। আমি কখনও বিএনপির ছত্রছায়ায়ও ছিলাম না। বিএনপিতে আমার কখনও কোন পদ ছিল না, এখনও নাই।’ আর বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল আমি তখন কলেজের ছাত্র। আমার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। এসময় কোন দলের সাথে আমি জড়িত ছিলাম না। বরং আমার পুরো পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে বিএনপি-জামাত চার দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আমার পরিবারের ওপর অনেক হামলা নির্যাতন হয়েছে। আমার বাবা আদমজীর প্রয়াত শ্রমিকনেতা রেহান সাহেবের সাথে রাজনীতি করতেন। ২০০৪ সালে সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপি নেতাদের ইন্ধনে র্যাব আমার বাসায় তল্লাশি চালায় আমাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে। আমাকে না পেয়ে আমার বাবারে নিয়ে যায় এবং ৫ দিন আটক করে রাখে।
আমার সম্পর্কে কয়েকটি জাতীয় ও স্হানীয় পত্রিকায় লেখা হয়েছে ‘বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগের যুবলীগে এসেছি’ যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট । আমি এর তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই।
নাসিকের প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতি ‘ইপিজেড ব্যবসায় আধিপত্য নিয়ন্ত্রন ও তেল সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত’ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের নিউজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আশরাফ বলেন, ইপিজেডে কাউন্সিলর মতি বৈধ লাইন্সেস দিয়েই ব্যবসা করছেন এবং শুধু তিনি একা না মজিবুর সাহেব, ইয়াছিন সাহেব, নাসিকের ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলা, সিরাজ মন্ডল সহ সবাই ইপিজেডে ব্যবসা করছে। তাহলে কেনো শুধু মতিউর রহমান মতির নাম আসবে? তিনি আরও বলেন, মতিউর রহমান মতি তেল সেক্টরের সাথে কখনও জড়িত ছিলেন না। আর আমি বৈধভাবে নিজের লাইন্সেস দ্বারা তেল ব্যবসা করে আসছি। কোনো অনিয়ম দুর্নিতী আমাকে কোনদিন স্পর্শ করেনি ভবিষ্যতেও করবে না ইনশাআল্লাহ।
এদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি প্রবীন বিএনপি নেতা শামসুল হক ওরফে পুলিশ সামছুল গোদনাইল ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সংগ্রামী সভাপতি উদীয়মান শ্রমিক নেতা আশরাফ উদ্দীনকে নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যে সংবাদ ও অপপ্রচারের কঠিন জবাব দিয়েছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের নিকট বলেছেন, গোদনাইল ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সংগ্রামী সভাপতি উদীয়মান শ্রমিক নেতা আশরাফ উদ্দীনকে নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তিনি “বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী নেতা”। এটা সত্য নয়। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আশরাফ কোনোদিনও বিএনপির সাথে জড়িত ছিলেন না। আশরাফ সম্পর্কে আমার ভাতিজা। সে সুবাধে ওর সাথে আমার সম্পর্ক। বিএনপি সরকার যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন আশরাফের বয়স ১৬ কি ১৭ হবে। তখন স্কুল কলেজের ছাত্র। বিএনপিতে তাঁর কোনো পদ নেই বা বড় কোন মিছিল মিটিংয়ে কারও সাথে তাঁর কোনো ছবি নেই। প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বলা ঠিক না। যাচাই বাছাই করে সাংবাদিকদের সত্য তুলে ধরা উচিত বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আমার সাথে বিএনপি করতো নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডলের চাচাতো ভাই এসএম আসলাম, তাঁর সমন্ধি গোলাম কিবরিয়া, মন্ডলপাড়ার তাওলাদ হোসেন, আমানুল হক মন্ডল, আইলপাড়ার বাবুল, মন্ডলপাড়ার জসীম, মিলন, সালাউদ্দীন মহাজন, মরহুম রহিম বাদশা, সুমিলপাড়া রেললাইন এলাকার শাহ আলম সক্রীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।
আনন্দবাজার/শাহী/আহসান