ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাস্তার ভোগান্তিতে কালাইয়ের মানুষ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচশিরা থেকে বৈরাগীহাট রাস্তাটি চলাচলের জন্য অত্যন্ত ব্যস্ততম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। কিন্তু এই রাস্তাটি প্রায় এক বছর যাবৎ সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থা থাকায় এখন চলাচলের জন্য চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর এবং আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাজারো মানুষের। ব্যস্ততম ও জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি প্রায় এক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইটের খোয়া ও বালু বের হয়ে রাস্তাজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পাঁচশিরা থেকে বৈরাগীহাট পর্যন্ত সংযোগ রাস্তটি প্রায় ৭ কিলোমিটার। আবার একটু বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে কাদা-মাটি সৃষ্টি হয়ে রাস্তাটি বিপদজনক হয়ে থাকে। ঐ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী, অফিসগামী এবং রোগীসহ অনেক মানুষ চলাচল করছেন। এছাড়া শত শত ট্রাক, পিক-আপ ভ্যান, সিএনজি, টেম্পো, ইজি-বাইক, অটো-ভ্যান, নছিমন-করিমনসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছেন। সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় সময় সেখানে ছোট-খাটো দূর্ঘটনা ঘটছে। বর্তমান ঐ রাস্তটি চলাচলের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত মেড়ামত না করা হলে যে সময়ে খুব বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ভূক্তভোগীরা জানান।

উপজেলার বৈরাগী গ্রামের তাজুল ইসলাম, রফিকুল, বিনোইল গ্রামের আফজাল, জাহিদুল ও কুশুমসারা গ্রামের মামুন, মিজানুরসহ অনেক ভুক্তভোগীরা জানান, মাত্রাই, উদয়পুর ও আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাজার, হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য একমাত্র এই রাস্তা।

মাত্রাই গ্রামেন মাহবুব ও আতিকুর জানান, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়েই তারা অফিসে যান। চলাচলের সময় তাদের খুব কষ্ট পেতে হয়। আবার মাঝে-মধ্যে কোন যানবাহন তারা পান না। পাওয়া গেলেও তাদেরকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলী আকবর বলেন, ঐ রাস্তার বিষয়টি উপজেলার এলজিইডি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আমাদের সংসদ সদস্য ও হুইপ মহোদয় জানেন। তবে তারা ঐরাস্তটি খুব দ্রুত সংস্কার করে দিতে চেয়েছেন।

এ ব্যাপারে কালাই উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলার পাঁচশিরা থেকে বৈরাগীহাট রাস্তাটি দেখে মাপজোক করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। এখন সময়ের ব্যাপার আর সময় সাপেক্ষে ঐ রাস্তাটি সংস্কারের কাজ হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ বি এইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন