ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈরুতে জাহাজ ভর্তি বিস্ফোরক পৌঁছাল যেভাবে

লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য বন্দরের গুদামঘরে ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোয়িাম নাইট্রেটের মজুতে আগুন ধরে যাওয়াকে দোষারোপ করেছে দেশটির সরকার।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে মলডোভিয়ান পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রোসাস ঠিক ঐ পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে বৈরুতে নোঙর করেছিল। জর্জিয়ার বাটুমি থেকে মালিকানাধীন জাহাজটি যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। যার গন্তব্য ছিল মোজাম্বিকের বেইরা। ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল জাহাজটিতে।

২০১৫ সালে শিপিং অ্যারেস্টেডডটকম নামে একটি নিউজলেটারে জাহাজ শিল্পের সাথে জড়িত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পূর্ব ভূমধ্যসাগর দিয়ে যাবার সময় রোসাস জাহাজটিতে কিছু কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ার কারণে জাহাজটি বৈরুত বন্দরে নোঙর করে।

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, বৈরুত বন্দরের কর্মকর্তারা রোসাস জাহাজটি পরিদর্শন করেন। এবং সেটিকে সমুদ্র যাত্রার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন লেবানীজ আইনজীবীরা। জাহাজের বেশিরভাগ কর্মীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। শুধুমাত্র থেকে যায় জাহাজের রুশ ক্যাপ্টেন বরিস প্রোকোশেফ এবং আরও তিনজন, যারা ইউক্রেনিয়ান বলে পরিচিত।

জানা যায়, বিচারবিভাগ ২০১৪ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চালান “১২ নম্বর ওয়্যারহাউস”এ স্থানান্তরিত করেন। ওই গুদামঘরটি ছিল বিশাল শস্য গুদামগুলোর পাশে।

বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার হাসান কোরায়েতেম এবং লেবাননের শুল্ক বিভাগের মহাপরিচালক বদরি দাহের জানিয়েছেন, তারা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বিচারবিভাগকে সেখানে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখার বিপদ সম্পর্কে বারবার সতর্ক করেছিলেন।

এ বছরের শুরুতে দায়িত্ব নেওয়া গণপূর্ত মন্ত্রী মিশেল নাজির জানান, এ বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি প্রথম বন্দরে এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের উপস্থিতির কথা জানতে পারেন। তিনি সোমবার কোরায়েতেমের সাথে এ নিয়ে কথা বলেন।

তবে এর পরের দিন মঙ্গলবারই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ওই গুদামে আগুন থেকে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন