ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ

প্রায় ছয় মাস ধরে দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে মহামারী করোনাভাইরাস৷ গত জুলাই মাসের শুরুতে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেলেও পরবর্তীতে তা আস্তে আস্তে কমে আসে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় শনাক্ত কম হচ্ছে। কিন্তু এবার কোরবানির ঈদ ও বন্যা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের মাত্রা আবারও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এর আগে গত ঈদুল ফিতরের পরও আশঙ্কাজনকভাবে সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছিল। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, সংক্রমণের মাত্রা বাড়লেও তা সামাল দেয়ার সামর্থ্য স্বাস্থ্যখাতের আছে।

জানা যায়, সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ, দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা, টেস্ট করতে ভোগান্তি, টেস্টের রিপোর্ট পেতে দেরিসহ নানা কারণে দেশে করোনার পরীক্ষা কমার ফলে কমেছে শনাক্তের সংখ্যাও।

সাধারণত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ প্রকাশ পায়। ঈদের সময়ে ঢাকা থেকে মানুষের গ্রামে যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পশুর হাট যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোরবানিও দিয়েছে মানুষ। এতে মধ্য আগস্টে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন জানান, এবারের ঈদ ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এ ঈদেই মানুষ গ্রামের বাড়ি বেশি যায়, পশুর হাট বসেছে। কতজন সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি দিয়েছেন সেটাও আতঙ্কের একটা জায়গা। তাতে করে এবারে সংক্রমণের হারটা বেশি হবে।

এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ঈদে অনেক লোকজন বাড়ি গেছে, বিভিন্ন স্টিমারে গেছে, বাসে গেছে। আমরা দেখেছি যে, গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হয়েছে। আমরা একটু আশঙ্কা করছি, কিছুটা সংক্রমণ বাড়তে পারে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন