চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। ৯০ বছর ধরে এইসব গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশে আগামীকাল শনিবার ঈদ উৎসব পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে তার একদিন আগেই চাঁদপুরের এসব গ্রামে ঈদ উদযাপন করছে।
করোনাভাইরাসের কারণে এসব গ্রামের ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত না হয়ে স্থানীয় প্রতিটি মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ জামাত।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবু ইছহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেছলেন। তার মৃত্যুর পর তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।
এই দরবারের বর্তমান পীর মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, ১৯৩১ সাল থেকে সাদ্রা মাদ্রাসায় আমার দাদা এবং তার মৃত্যুর পর আমার বাবা ঈদ জামাতের ইমামতি করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি এর দায়িত্বে রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে এবার ঈদের জামাত ভাগ করে দিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত হবে। আর কেন্দ্রীয় জামাতটি দারুজজখর খানকা শরীফ প্রাঙ্গণে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
যেসব গ্রামে ঈদ হচ্ছে সেগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, বেলচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার-সেনাগাঁও, বাসারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, ষোলা, হাঁসা, চরদুখিয়া এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী ও কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রাম।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন বলে জানা যায়।
আনন্দবাজার/টি এস পি