ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানি শেষ পশুর হাট জমজমাট-মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি

করোনার ভয় উপেক্ষা করে ফটিকছড়িতে শেষ হাটে ফটিকছড়ির কেন্দ্রস্থল বিবিরহাট বাজারে কোরবানির পশুর হাট ছিল জমজমাট। পবিত্র কোরবানির ঈদ (ঈদুল আযহা) ঘনিয়ে আসায় হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সে সাথে জমে উঠে বেচাকেনা।

বৃহস্পতিবার (৩০জুলাই) ফটিকছড়ি বিবিরহাটে ছিল কোরবানি বাজারের শেষ গরুর হাট। হাটগুলোতে দেশি পশুর আধিক্য থাকায় খুশি ক্রেতারা। তবে দাম নিয়ে অসন্তোষ তাদের। বিক্রেতারা বলছেন, এবার দেশি গরুর সরবরাহ বেশি থাকায় কমেছে ভারতীয় গরুর চাহিদা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধ্য করলেও হাটে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাক। হাটগুলোয় মানুষের গাদাগাদি। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে। কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে খুশিতে দৌড়ানি দিয়ে পশু বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা নামানো থুতনিতে, কারওবা কানে ঝোলানো।

এদিকে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

ফটিকছড়ির সবচাইতে বড় পশুর হাট বিবিরহাটে বিপুল সংখ্যক পশু এবার এসেছে। তবে রাস্তায় কোন ধরণের পশু বেচাকেনা না করার জন্য ফটিকছড়ি কলেজ মাঠেও করা হয়েছে পশু কেনাবেচার আয়োজন। কিন্তু এবারও গরুর দাম প্রথমের দিকে কিছুটা কম থাকলেও শেষ হাটে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

গরু বিক্রেতা ফটিকছড়ি লেলাং ইউপির বাসীন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, আমি এবার সর্বোচ্চ ২লাখ ১০হাজার টাকা দামের একটু গরু বিক্রি করেছি। এছাড়াও আমার কাছেও আরো ৫টি বড় গরু রয়েছে । আমি আমার নিজস্ব খামারেই দেশীয় জাতের পালিত গরুটি বিক্রি করে আনন্দিত। তবে শেষ বাজার বলে কিছুটা কম দামে ২লাখ ১০হাজার টাকায় গরুটি বিক্রি করেছে বলে জানায় নুরুল।

বিবিরহাট পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর হাটে বড় গরুর চাহিদা একটু কম। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দামও তুলনামূলক বেশি। তবে ছাগলের দাম একটু বেশি। তারপরও ক্রেতাদের অভিযোগ, করোনায় পশুর দাম কম ভেবেছেন তাঁরা কিন্তু দাম গত বছরের মতোই বেশি হাঁকানো হচ্ছে।

আনন্দবাজার/শাহী/জিপন

সংবাদটি শেয়ার করুন