বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনোদন পার্ক খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

করোনাভাইরাসের কারণে বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এতে কাজ হারানোর ঝুঁকিতে পরেছে কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দুই ঈদকে মূলত তাঁদের আয়ের মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। করোনার প্রভাবে গত রোজার ঈদে পার্কগুলো বন্ধ ছিল। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু চাললেও ঈদ উপলক্ষে বিনোদন পার্কগুলো খোলা হবে কিনা এ নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন পার্ক মালিকরা।

কোরবানির ঈদেও যদি পার্কগুলো বন্ধ থাকে, তাহলে হুমকির মুখে পড়তে হবে এই খাতটিকে। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখতে পর্যটন ও বিনোদন পার্কগুলো খুলে দিতে পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যামিউজমেন্ট পার্কস অ্যান্ড অ্যাট্রাকশন (বাপা)।

জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে দুটি ঈদ ও বছরের প্রথম কয়েকটা মাসে বেশি জনসমাগম দেখা যায়। এই সময় শিক্ষা সফরসহ বিভিন্ন সংগঠনের মিলনমেলায় মুখরিত থাকে জায়গাগুলো। কিন্তু এবছর করোনাভাইরাসের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে এই খাতটি।

বাপা থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের প্রায় ১০০ বিনোদন পার্ক গত চার মাস ধরে বন্ধ আছে। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বেকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। পার্কগুলো বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।

ঈদের আগে ঢাকার বিনোদন পার্কগুলো খোলার বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ম্যাজিস্ট্রেট এম জামাল হোসেন জামান, বিনোদন পার্কগুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি, আশা করি খুব দ্রুতই একটি ফলাফল জানাতে পারবো সবাইকে।

আরও পড়ুনঃ  নওগাঁয় হাট বাজারে মাছ ধরার নানান সরঞ্জাম বেঁচা-কেনার ধুম

বাপার সমন্বয়ক এবং কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্টের নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং) অনুপ কুমার সরকার বলেন, করোনায় আমাদের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। পার্কে যেই রাইডগুলো রয়েছে সেগুলো রানিং না থাকলে ড্যামেজ হয়ে যায়। এখন যেহেতু দেশের সব কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চলছে, তাই আমরাও সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পার্কগুলো ঈদের আগে খুলতে চাই। আমরা আমাদের পার্ক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি চিঠি দিয়েছি। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, পার্ক খুলতে তাদের কোনো অসুবিধা নেই, তবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক চাইলেই পার্কগুলো খুলে দিতে পারবেন। এরপর আমরা জেলা প্রশাসকের কাছেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছি তবে এখন পর্যন্ত অনুমতি পাইনি।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন