বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় পণ্য নিয়ে প্রথম কন্টেইনার ট্রেন এলো বেনাপোলে

ভারতীয় আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল এসেছে প্রথম কন্টেইনার ট্রেন।

৫০টি সাইডডোর কন্টেইনারবাহী এই ট্রেনটি রবিবার দুপুরে সিমান্তের ওপারের আনুষ্ঠিানিকতা শেষে বেনাপোলে প্রবেশ করে। দেশের সর্ববৃহৎ এই স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথের পাশাপাশি রেলপথে স্বল্পপরিসরে আমদানি হলেও কন্টেইনার ট্রেনযোগে আমাদানির ঘটনা এটাই প্রথম। এরফলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে খরচ, সময় ও ভোগান্তি কমেছে। এমনকি নিশ্চিত হবে পণ্যের নিরাপত্তাও।

বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, ৫০টি সাইডডোর কন্টেইনারে বিভিন্ন আমদানিকারকের ৬৪০ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে কার্গো ট্রেনের প্রথম চালানটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।

জানা গেছে, কলকাতার মোমিনপুর থেকে গত শুক্রবার (২৪ জুলাই) ট্রেনটি বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।

অপরদিকে ভারত থেকে আসা প্রথম কন্টেইনার ট্রেনটি বেনাপোল রেলস্টেশনে এসে পৌঁছালে কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তারা ফুল ছিটিয়ে স্বাগত।

বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, রবিবার আসা ৫০টি কন্টেইনারে ‘প্রক্টার এন্ড গ্যাম্বেল’ (পিএন্ডজি), ‘চিটাগং এশিয়ান এ্যাপারেলস লিমিটেড’, ‘ডেনিমেক লিমিটেড’, ‘প্যাসিফিক জিন্স’, ‘ফ্যাশান ফোরাম’, ‘শাহ মাখদুম’সহ ছয় আমদানিকারকের পণ্য ছিল।

এর পূর্বে শুধু বাল্ক কার্গো ট্রেনে পাথর, পাথর চিপস, ধান ও চাল আমদানি হতো। তবে কন্টেইনার ট্রেনে আমদানি এই প্রথম। এখন থেকে সব ধরনের পণ্য কন্টেইনার ট্রেনে আনা যাবে।

বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ান কাস্টমস এর যৌথ প্রচেষ্টায়, “বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এই সেবাটি বাস্তবায়ন করেছে। এই কন্টেইনার রেল মুভমেন্টের কারণে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেমন উন্নয়ন হবে; তেমনি দুই দেশের ব্যবসায়ীগণ উপকৃতও হবেন।”

আরও পড়ুনঃ  যানবাহনের ৮০ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ

জানা গেছে, একটি ওয়াগনে চার ট্রাকের সমান পণ্য আনা যায়। রেল কার্গোতে মিথ্যা ঘোষণার সুযোগ কম। ট্রেনের ভাড়া ট্রাকের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। আবশ্যিক পার্কিং, ট্রাকের দীর্ঘসময় অপেক্ষা ও চাঁদা নেই। দিনে ১০০ বগির একটি ট্রেনে ৪০০ ট্রাকের সমান পণ্য আনা যায়।”

এতে বেনাপোল স্থলবন্দরে শুল্কায়নের সময়, পণ্য খালাসের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে ও আমদানি পণ্য কম সময়ে ভোক্তার কাছে পৌঁছে যাবে।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন