রাজধানী ঢাকার বাড্ডা প্রগতি সরণির একটি সিকিউরিটি কোম্পানির অফিস চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে ১৮ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ধর্ষণের সহযোগিতাকারী দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা গেলেও মূল আসামী এখনও পলাতক আছে বলে জানায় পুলিশ।
আজ শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ধর্ষণে শিকার হওয়া কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মো. মাসুদুর রহমান বলেন, কিশোরীর বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলায়। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর সে চাকরি খুঁজার জন্য ৮/৯ দিন আগে বাড্ডা হোসেন মার্কেট এর পিছে ময়নারবাগ এলাকায় তার এক পরিচিতের বাসায় আসেন। এখানে আসার পর এক দালালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ওই দালাল তাকে প্রগতি সরণির শেল্টার সিকিউরিটি সার্ভিসেস বিডি লিমিটেডে সিকিউরিটি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়।
গত ১৭ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে তাকে প্রগতি সরণির গ ৯৭/১ নম্বর এই ভবনের চারতলার ওই কোম্পানীর অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরে ওই দালাল অফিসের দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় দ্বিতীয় আসামি অপারেশন ম্যানেজার শহিদুল হক (৪৫) তার রুমের বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও সিকিউরিটি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাহিদ হাসানও (৪৫) ধর্ষণে সহায়তা করে বলে ওই কিশোরী অভিযোগ জানায়।
এসআই আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মেয়েটি লজ্জায় ও ভয়ে কাউকে কিছু না বলে পরিচিতের ওই বাসায় চলে আসে। পরবর্তীতে মেয়েটি অন্য একটি অনলাইন শপিংয়ে চাকরি নেয়। চাকরিরত অবস্থায় অফিসের এক কর্মকর্তার তাকে দেখে সন্দেহ হয়। তখন সহকর্মীরা তাকে জিজ্ঞাস করে তার কাছ থেকে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারে।
পরবর্তীতে তাকে নিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে বাড্ডা থানায় এসে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের কর হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরীকে আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সহায়তাকারী দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা গেলেও মূল আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আনন্দবাজার/এম.কে