গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জ জেলার যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সিংগাইর উপজেলা ব্যতিত বাকী ৬ টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো এরই মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানিতে পানিবন্দি হয়ে বিপাকে আছে লাখো মানুষ। ইতোমধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বন্যা কবলিত এসব এলাকায়। এলাকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা।
জেলার দৌলতপুর, হরিরামপুর, শিবালয়, সাটুরিয়া, ঘিওর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লাখো মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে বন্যার পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দৌলতপুর, হরিরামপুর, শিবালয় উপজেলার বাসিন্দারা। অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটছে তাদের।
দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু কিছু এলাকায় ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা বেশ অপ্রতুল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অর্ধেকেরও বেশি ত্রাণ থেকে এখনো বঞ্চিত আছেন।
পানির স্তর পরিমাপক মো. ফারুক আহম্মেদ জানিয়েছেন, যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমা হচ্ছে ৯ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। এবারের বন্যায় পানি বৃদ্ধির সর্বোচ্চ রেকর্ড ১০ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার। সবশেষ যমুনা নদীতে ১০ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার অবস্থন করছে। যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, জেলার ২৩৪ কিলোমিটার এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাবাসীর জন্য ১৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব ত্রাণ বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে।
আনন্দবাজার/এম.কে