শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুর লতির পাশাপাশি বাড়ছে কচুর ফুঁলকার কদর

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কচুর লতির পাশাপাশি কচুর ফুঁলকার কদর বেড়েছে। খেতে সু-স্বাদু এসব কচুর ফুঁলকার চাহিদা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃদ্ধি পাওয়ায় এক শ্রেণির নিম্ন আয়ের মানুষ অন্যের কচুক্ষেত থেকে এসব কচুর ফুঁলকা তুলে প্রতিদিন ৪শ/৫শ টাকা পর্যন্ত আয় করছে।

পাঁচবিবি উপজেলা লতিরাজ কচুর জন্য বিখ্যাত হলেও পরের ক্ষেত থেকে এসব কচুর ফুঁলকা তুলে বিক্রি করে সংসার চলছে এসব নিম্ন আয়ের মানুষের।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, করোনার ভাইসারের কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় ছোট্ট ছোট্ট ছেলেদের দল বেধে এসব ফুঁলকা সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষেরাও এসব সংগ্রহ করছে।

কচুর ফুঁলকা সংগ্রহকারী ধরঞ্জী গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, কচুর এই ভরা মৌসুমে গাছ থেকে ফুঁলকা বের হয়। ক্ষেতের মালিকরা এই ফুল সংগ্রহ না করে কেটে ফেলে দেয়। আমরা সেগুলো সংগ্রহ করে বিক্রি করি।

একই গ্রামের শাহ আলম বলেন, অন্যের জমি থেকে প্রতিদিন এক দেড় মন করে ফুলকা সংগ্রহ করি। পরে পাইকার এসে সেই ফুলকা ২৫০/৩০০ মন দরে কিনে নেয়। এতে আমাদের ভালই আয় হয়।

কচুর ফুলকার পাইকার আইজুল ইমলাম বলেন, উত্তরা লের বন্যাকবলিত রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধাসহ দক্ষিনা লে এই ফুলকার চাহিদা অনেক বেশি। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন ২০/২৫মন করে ফুলকা লোড করি। খরচ বাদে কেজি প্রতি ২/৩ করে লাভ হয়।

আনন্দবাজার/শাহী/বাবুল

আরও পড়ুনঃ  আলুবীজের ব্যাপক চাহিদা, সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

সংবাদটি শেয়ার করুন