ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে একই পরিবারের চার জন খুনের আসামি গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে একই পরিবারের চার জনকে খুনের প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২। রবিবার (১৯ জুলাই) নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত মো. সাগর আলীকে র‌্যাব সদস্যরা আটক করে। গত ১৫ জুলাই টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় ঐ চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটেছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গনিসহ তার পরিবারের আরো তিনজন সদস্যকে ১৫ জুলাই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। ১৭ জুলাই সকাল বেলা আব্দুল গনির বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে তার শাশুড়ি এলাকার লোকজনের মাধ্যমে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড দেখতে পায়।

নিহতরা হলেন- আব্দুল গনি (৪৫), তার স্ত্রী তাজিরন বেগম (৩৮), পুত্র তাজেল (১৭) ও ছোট কন্যা সাদিয়া (৮)।

ঘটনার পর থেকে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র‌্যাব-১২। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৮টায় হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মধূপুর উপজেলার ব্রাক্ষণবাড়ি গ্রামের মগবর আলীর ছেলে মো. সাগর আলীকে (২৭) নিজ বসতবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জানায়, আব্দুল গনি সুদের ব্যবসা করত। আসামি সাগর আলীর সঙ্গে তার সুদের লেনদেন ছিল। সাগর বেশ কয়েকবার সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। গত মঙ্গলবার আব্দুল গনির কাছে পুনরায় ২০০ টাকার জন্য গেলে তাকে অনেক বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেয়। এতে সাগর অপমান বোধ করলে তার অপর এক সহযোগীকে নিয়ে হত্যা এবং টাকা-পয়সা ও সম্পদ লুণ্ঠনের পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর তার সহযোগীকে নিয়ে ওই দিন দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গনির বাসায় যায়। যাওয়ার পূর্বে সাগরের সহযোগীতায় বাজার থেকে চেতনানাশক ওষুধ নিয়ে যায়। চেতনানাশক ব্যবহার করে খুনিরা প্রথমে গনিকে অচেতন করে। এরপর তারা গনির পরিবারের বাকিদের ঘুমন্ত অবস্থায় অচেতন করে। সবাইকে ঠান্ডা মাথায় গনির বাসায় ব্যবহৃত কুড়াল ও আসামিদের ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র দিয়ে প্রত্যেককে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সাগর।

এরপর বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে বাসার বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যায় খুনিরা। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসামির বোনের বাড়ি মধুপুর উপজেলার ব্রাক্ষণবাড়ি (মজিদ চালা) থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারাল চাকু ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। অপর সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব-১২ এর অভিযান চলমান রয়েছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন