ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় বিপদ সীমার উপরে বইছে নদ-নদীর পানি

গত কয়েক দিনের টানা প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপদসীমার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নওগাঁর আত্রাই নদ ও ছোট যমুনাসহ প্রায় সবকটি নদীর পানি। পানি বন্দি হওয়ায় হাজারো পরিবার নিজ বসত বাড়ি থেকে বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে রান্না করতে না পারায় অনেকেই শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছেন।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদের পানি জোতবাজার পয়েন্টে এখন বিপদসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ও আত্রাইয়ে প্রায় ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মান্দায় ৫টি আত্রাই ৪টি ও রাণীনগরের ১টি বাধ ভেঙে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শতশত পরিবার মান্দা ও আত্রাইয়ের বাধ ও উঁচু স্থানে বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে অবস্থান করছে। গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যার কবলে পড়ে আত্রাই নদ ও রাণী (ফকিরনি) নদীর উভয় তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৫০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে এ দুই নদীর উভয় তীরের ৫টি বেড়িবাধ ও জোকাহাট দাসপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে গেছে। এতে মান্দা-আত্রাই আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আত্রাই উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নভেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, পানিবন্দী প্রায় ১ হাজার ৮০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার চিড়া, মুড়ি, গুড়, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাউছার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে উপজেলার কয়েক স্থানের বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্রায় ২ হাজার ৫৭ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এন এ

সংবাদটি শেয়ার করুন