ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ আগস্টের পরে চসিকে বসবে প্রশাসক

নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট করতে না পারায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জানান, “৫ অগাস্ট পর্যন্ত ওই সিটির জনপ্রতিনিধিদের বর্তমান মেয়াদ বহাল রয়েছে। মেয়াদ শেষ হলে আইনানুগভাবে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে।”

মহামারি করোনাভাইরাসের পাশাপাশি টানা বর্ষণ ও পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৫ অগাস্টের মধ্যে আটকে থাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাই মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠিতে জানানো হয়েছে।

জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৯ মার্চ এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১৫ সালে ৬ অগাস্ট। সে হিসেবে এ করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ অগাস্ট।

তাছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, “বর্তমানেও করোনা প্রভাব অব্যাহত থাকায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং অতি বৃষ্টি ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা বিবেচনায় চসিকের মেয়াদকালের মধ্যে অর্থাৎ ৫ অগাস্টের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।”

এদিকে, এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, “স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনে প্রশাসক নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সে অনুযায়ী এ করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। এখনও মেয়াদ শেষ হতে কিছুটা সময় রয়েছে। যথাসময়ে এর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

মৃত্যুজনিত কারণে যেসব পদ এর মধ্যে শূন্য হবে সে বিষয়ে কমিশন তখন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।

চসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মিনার), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী (হাতি)।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন