টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নেমে আসা পানির চাপে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী এলাকায় মুহুরী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৬ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি ঢুকে ১৫ টি গ্রামের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের, ডুবে গেছে মুরগি খামার ও বীজতলা, বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।
এ ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ১৫০ টন চাল ও ২ লাখ টাকার সহায়তা বরাদ্দ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে ফুলগাজী বাজারের বিভিন্ন দোকানে পানি ঢুকে আসবাবপত্র ও ব্যাপক মালামাল নষ্ট হচ্ছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে কৃষি ও মৎস্য বিভাগের মাঠকর্মীরা কাজ করছেন। একদিকে করোনার ছোবল অন্যদিকে প্লাবনে দুর্যোগে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ। তবে সোমবার (১২ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত পানি কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি দেখার মিলেছে।
এলাকাবাসী জানায়, রবিবার বিকালে ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের মুহুরী নদীর কিসমত ঘনিয়া মোড়া ও উত্তর দৌলতপুর, সাহাপুর অংশের ৪টি স্থানে নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন ধরে। এর ফলে ঘনিয়া মোড়া, কিসমত ঘনিয়া মোড়া, পূর্ব ঘনিয়া মোড়া, উত্তর দৌলতপুর, বৈরাগপুর, সাহাপাড়া, উত্তর বরইয়া গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়।
অন্যদিকে পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের ধনিকুন্ডা ও শালধর অংশে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই স্থানে ভেঙে আরো অন্তত ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দীন।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানিয়েছেন, সোমবার সকালে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে বিকাল গড়াতে পানির চাপ কিছুটা কমেছে।
পাশাপাশি ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা জানান, পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
আনন্দবাজার/শাহী