শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে ঝিনাইদহের চমক বাহুবলি ও টাইগার

শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগির ফার্ম দিয়ে কর্ম জীবন শুরু করেন ঝিনাইদহের ইমরান। পরবর্তীতে নিজের চেষ্টায় গড়ে তোলেন ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম নামে একটি গো খামার। সেখান থেকেই গত ৫ বছরে বেকারত্বকে কাটিয়ে নিজে স্বনির্ভরশীল হয়েছেন। এভাবেই তার বেড়ে ওঠা। এরইমধ্যে এবারের ঈদুল আযহায় চমক সৃষ্টি করেছে বাহুবলি ও টাইগার নামের দুই ষাঁড়।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন ঝন্টুর ছেলে ইমরান হোসেন। তিনি ঝিনাইদহ সিটি কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে অনার্স লেখাপড়ার পর বেকারত্ব জীবন যাপন করতে থাকেন। তারই মাঝে স্বপ্ন দেখেন চাকুরি না করে নিজের একটি কর্মসংস্থান গড়ে তোলার। সেখান থেকেই তার কর্ম জীবনের পথ চলা।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম এর স্বত্তাধিকারী ইমরান হোসেন ২০১৫ সালে একটি গো খামার তৈরী করেন। এবারের ঈদুল আযহায় বাহুবলি ও টাইগার নামের দুই ষাঁড় দিয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি।

ইমরান হোসেন জানান, পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। বিভিন্ন ফার্মে গিয়ে ও পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ফার্ম করে আজ আমি একজন সফল খামারী। ৫ বছর হলো এই খামারে তিনি গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে তার খামারে ১৩ টি ছোট বড় গরু রয়েছে। তার মধ্যে বাহুবলি ও টাইগার অন্যতম।

তিনি আরও জানান, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি এ খামারের যাত্রা শুরু করেন। ৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার গরু তোলা হয়েছে তার খামারে। এছাড়াও খামার তৈরীর মাধ্যমে তিনি কয়েকজন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন। তার দাবি এ বছর করোনার মধ্যে ন্যায্য মূল্য পেয়ে লাভের মুখ দেখবেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  মেহেন্দিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে নিহত ২

খামার দেখতে আসা দর্শনার্থী আব্দুস সালাম জানান, এমন গরু আমার জীবনে আগে কখনও দেখিনি এই প্রথম দেখলাম। তার সাথে সেলফি উঠানোর হিড়িকও চলছে। অনেকে আবার এই ষাঁড়ের সাথে তোলা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এসব কারণে ষাড় দুটি এখন আলোচিত হয়ে উঠেছে।

ইমরান হোসেনের ভাই রাজিবুল ইসলাম জানান, আমরা দুই ভাই মিলে অনেক কষ্ট করে এই গরু দুটিকে লালন পালন করেছি। আসছে ঈদুল আযহায় গরু দুটিকে নিয়ে তাদের দু’ভাইয়ের স্বপ্ন আছে গরু দুটি বিক্রয় করে ভবিষ্যতে এর চেয়ে আরো বড় গরু ঝিনাইদহ বাসীর জন্য উপহার দেব। ইনশাল্লাহ।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, তারা গরু দুটির ওজন আনুমানিক ৪০ মণ বলে ধারণা করছেন। ঈদ আসতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি আছে। এরই মাঝে আরো কিছু ওজন বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

আনন্দবাজার/শাহী/বুহা

সংবাদটি শেয়ার করুন