সম্প্রতি মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এরপর গত ২ জুলাই ৯টি নির্দেশনা মেনে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও নির্দেশনা মানছেন না বিভাগগুলো। ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পজিটিভ রিভিউ দিতেও বাধ্য করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে দেয়া প্রথম নির্দেশনা হচ্ছে, অনলাইন ক্লাসের ভিডিওসমূহ ইউটিউব/ফেসবুক প্ল্যাটফর্মেও আপলোড করতে হবে যেন শিক্ষার্থীরা যেকোন সময়ে তা দেখতে পারে। কিন্তু এই নির্দেশনা মানছেন না বিভাগগুলো। শিক্ষকরা জুমে ক্লাস নিচ্ছেন এবং রেকর্ড করার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে করে ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, তারা বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে ক্লাস করার জন্য ডিভাইস, নেটওয়ার্ক ও ডাটা কিনতে সামর্থ্যবান না হওয়ায় ৮৭ ভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক অনলাইন জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে ক্লাস রেকর্ডের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকরা নির্দেশনা মানছেন না। এতে করে এই শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অনলাইন ক্লাসে রেকর্ড করে সেটা ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করার নির্দেশনা থাকলেও ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের কড়াভাবে নিষেধ করা হচ্ছে। এদিকে জুম এপে ক্লাস করা আমাদের সবার পক্ষে সম্ভব না। ক্লাস মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষক তার ক্লাস নিয়ে প্রশংসামূলক পোস্ট লিখে সেটা ফেসবুকে শেয়ার করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। ফিন্যান্স বিভাগের অন্য এক শিক্ষক ক্লাস না নিয়ে ইউটিউব লিংক থেকে শেখার জন্য বলছে। এত করে শিক্ষার্থীরা বিব্রত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান জানান, অনলাইন ক্লাস ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। প্রত্যেক বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা মানার ব্যাপারে আলাদাভাবে বলা হয়েছে। এখন কিছু বিভাগ এই নির্দেশনা মানছে না, সেটা মাত্র জানলাম। এরকম কোনো অভিযোগ আসলে আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে কথা বলবো। আমরা এব্যাপারে জবাব চাইবো।
আনন্দবাজার/শাহী