বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় আক্রান্ত নেতা-কর্মীদের তথ্য নেই দলগুলোর কাছে!

দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে নিজেদের দলের কতজন নেতাকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও কতজন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, সেই সঠিক পরিসংখ্যান নেই। ১০টি রাজনৈতিক দলের সাথে যোগাযোগ করা হলে কেবল বিএনপি মোটামুটি একটি পরিসংখ্যান জানাতে পেরেছে। বাকি ৯টি দলের মধ্যে কেউ বলেছে, জেলা পর্যায়ের নেতাদের তালিকা তৈরিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেউ আবার বলছে, কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব তো চলমান, এ কারণে এখন অবধি কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না। মহামারির প্রভাব কমে এলে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের তথ্য নিয়ে প্রকাশ করা হবে।

আওয়ামী লীগ
সারাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতজন নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং কতজন মারা গেছে, দলটির কেন্দ্রীয় দফতরে এব্যাপারে কোন তথ্য এখন পর্যন্ত নেই। তবে জানা গেছে, দলের জেলা পর্যায়ের নেতাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান জানান, করোনা আক্রান্তের ও মৃত্যুর তালিকা কেন্দ্রীয়ভাবে এখনও আমাদের কাছে নেই। এটা তো চলমান প্রক্রিয়া, জেলা পর্যায়ের নেতাদের তালিকা তৈরি করতে বলেছি। জেলা নেতৃবৃন্দ বয়স্ক ও অসুস্থ, তারা কিছুটা সময় নিয়ে আস্তে আস্তে তৈরি তালিকা করছেন। জেলা থেকে তালিকা এলেই আমরা সঠিক সংখ্যাটা জানাতে পারবো।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মকবুল হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের (এসসিসি) সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ রওশন আলীসহ অর্ধশতাধিকের বেশি নেতাকর্মী।

আরও পড়ুনঃ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সবকটি থানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

বিএনপি
সারাদেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও মারা যাওয়া দলীয় নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহে করোনা সেল গঠন করেছে বিএনপি। এ সূত্রে জানা যায়, ৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দলটির ৭৬ নেতাকর্মী, আক্রান্ত ২৮৪ জন। এর বাইরে কয়েকজন নেতা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আব্দুল হক ও সাবেক ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী টি এম গিয়াসউদ্দিন।

এদিকে জাতীয় পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি সহ বাকিসব দলগুলোর কতজন নেতাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বা মারা গেছেন তার কোন সঠিক হিসাব তাদের কাছে নেই।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন