বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় কেমন দিন কাটছে ক্যাম্পাস তারকার

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ বিরতিতে ক্যাম্পাস তারকাদের সময় কেমন কাটছে এ বিষয়ে দৈনিক আনন্দবাজার এর মুখোমুখি হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় মুখ মো: সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার। তিনি একাধারে লেখক, অভিনেতা, বিতার্কিক, উপস্থাপক, সাংবাদিক, সংগঠক ও তার নিজ বিভাগে অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ ফলাফল। দর্শন বিভাগে মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৮৫ পেয়ে হয়েছেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালব করছেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শাহীদ আপন।

আনন্দবাজার: চলমান পরিস্থিতিতে কেমন আছেন?

মাহাদী সেকেন্দার: আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ আছি। সুস্থ থাকাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

আনন্দবাজার: অবসর সময় কিভাবে কাটছে?

মাহাদী সেকেন্দার: এত দীর্ঘ সময় ধরে ক্যাম্পাস কখনোই বন্ধ থাকে না। ছুটির এই সময়টাতে পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটছে। নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে জানা ও শেখার চর্চা অব্যাহত আছে। প্রাসঙ্গিক ইস্যুতে কলাম, ফিচার লিখছি। দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্যের বিভিন্ন বই পড়ে সময় অতিবাহিত করছি।

আনন্দবাজার: করোনা পরিস্থিতিতে আপনার ভূমিকা কি?

মাহাদী সেকেন্দার: করোনাসংকটের ফলে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ব্যস্ততা আর নেই। ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে চলমান সংকটে পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ী বেশ কয়েকটি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।মানুষকে সচেতন করতে কাজ করেছি।

আনন্দবাজার: আপনার অনেকগুলো কাজের মধ্যে কোনটিতে এগিয়ে রাখবেন?

মাহাদী সেকেন্দার: এটি বলা আমার জন্য আসলে খুবই কঠিন হবে। আমি মূলত কাজকে ভালোবাসি। সবকিছুর মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়া আমার জন্য সহজ নয়। তবে আমি সংগঠন চর্চাকে এগিয়ে রাখবো।

আরও পড়ুনঃ  'সেভ দ্য টুমরো' জাককানইবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

আনন্দবাজার: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

মাহাদী সেকেন্দার: বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বন্ধ রয়েছে সেক্ষেত্রে আপাতত অনলাইন ভিত্তিক কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করার ইচ্ছা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে মূলত শিক্ষার্থীদের সাথে একসাথে কাজ করার সুযোগ হবে সুতরাং আপাতত এর বাইরে আমাদের কাজ করার কোন সুযোগ নাই। আশাকরছি অচিরেই দুর্যোগ কেটে যাবে।

আনন্দবাজার: আপনাকে বলা হয় জগন্নাথের অলরাউন্ডার। একাডেমিক রেজাল্টে যেমন সেরা তেমন আপনি দক্ষ সাংগঠনিক চর্চায়। রয়েছে একাধিক গুণাবলি। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

মাহাদী সেকেন্দার: আসলে আমি মূলত চেষ্টা করি নিজের সাধ্যমত কাজ করে যেতে। আমি টিভি পর্দায় যখন কাজ করি তখন সেটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ আমার একাডেমিক স্টাডি। আবার সংগঠন চর্চাকে আমি সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তবে নিশ্চয় ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার একাডেমিক যায়গাকে আমি এগিয়ে রাখতে চাই।ফলে আপাতত গবেষণামূলক কাজে নিজেকে মনোনিবেশ করার ইচ্ছা রয়েছে।

আনন্দবাজার: পাঠকদের উদ্দেশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি কিছু বলতেন।

মাহাদী সেকেন্দার: চলমান বৈশ্বিক মহামারীতে আমাদের নিরাপদ থাকা অর্থাৎ সুস্থ থাকাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলতে চাই অবসর সময়ে একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে পারেন। এছাড়া চাকুরির জন্য প্রস্তুতিমূলক পড়ালেখা করা যেতে পারে। তবে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজের যত্ন নেওয়া এবং স্বাথ্যবিধি মেনে চলা।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন