দেশে করোনা প্রভাব শুরুর চার মাসের মধ্যে জনজীবন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেকটা সচল হওয়ায় কর্মহীন মানুষের জন্য ত্রাণের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
তিনি জানান, গত ১৫ জুন থেকে মাঠ পর্যায়ে চাহিদা না থাকায় আর ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। তবে বর্তমানে বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তরা জানিয়েছেন, সীমিত পরিসরে অফিস, গণপরিবহন চালু, দোকানপাট এবং শপিংমল খোলা রাখার সময় বাড়ানো, নতুন ধান ঘরে ওঠার পাশাপাশি কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করায় ত্রাণের চাহিদা আপাতত কমেছে। তাই অসহায় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে আর ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
অসহায় মানুষ যাদের ত্রাণের প্রয়োজন ছিল তারা এখন কাজে ফিরে উপার্জন করতে পারছেন। তাই চাহিদা না থাকায় ১৫ জুন থেকে ত্রাণ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কেউ বরাদ্দ চাইলে ত্রাণ দেওয়া হবে বলে জানান ত্রাণমন্ত্রী।
বর্তমানে শুধু বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নয় জেলায় নতুন করে ১০০ মেট্রিক টন করে চাল এবং ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায় ১০ লাখ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলায় পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
দেশে বন্যার সময় যদি ত্রাণ বিতরণ করতে হয় সেই প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ থেকে অগাস্টের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দীর্ঘাস্থায়ী বন্যা হবে বলে পূর্বাভাস আছে। একারণে শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, এবং নগদ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে