ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের খাবারের বিল নিয়ে বিতর্কের মধ্যে কোন খাতে কত খরচ তার হিসাব দিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, জনপ্রতি খাবারের জন্য ৫০০ টাকা করে নির্ধারণ করা আছে। খরচের বড় অংশ একটা যাচ্ছে হোটেল ভাড়ায়। ২ হাজার ২৭৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর এক মাসের থাকা ও খাওয়া বাবদ সাড়ে ১৩ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। তা দুই মাসে তা ২৭ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
এক মাসে ২০ কোটি টাকা খাবারের বিলের যে খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে সেসব ‘ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। গণমাধমে বলা হচ্ছে শুধু খাবার খরচ বাবদ এত টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
প্রথম আমরা দেখেছি, ২০ কোটি টাকা শুধু চিকিৎসকের খাবারের জন্য লেখা হয়ে ছিলো। কথা হচ্ছে, এখানে শুধু চিকিৎসক নয়, এখানে কর্মকর্তা কর্মচারী, নার্সরা রয়েছেন, মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জন গত দুই মাসে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের পরিচালক জানান, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ’ পরিচালনা করার জন্য চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের ৩০টি হোটেলে থাকা, খাওয়া এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হয়েছে।
আর সব হোটেল কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে, খাবারে জনপ্রতি প্রতিদিন ৫০০ টাকা এবং থাকা বাবদ কত নেবেন- এভাবেই দর কাষাকষি করে ঠিক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে এক মাসের খরচ হিসেব করে সেই আলোকে দুই মাসের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে ছিলাম।
আনন্দবাজার/এম.কে