শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন সোয়াইন ফ্লুর সন্ধান পেলেন গবেষকেরা, ঘটাতে পারে মহামারি

সম্প্রতি করোনার বর্তমান ভীরে নতুন এক ধরনের সোয়াইন ফ্লুর সন্ধান পেয়েছে গবেষকেরা। আর এই ভাইরাসটি মহামারি ঘটানোর মতো সক্ষমতা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল পিএনএএসে গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নতুন এই সোয়াইন ফ্লু’র নাম দেওয়া হয়েছে ‘জি ৪’। এটা ২০০৯ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সোয়াইন ফ্লু ‘এইচ১এন১’ এরই একটি রূপ বলে দাবি গবেষকদের।

গবেষণাটি করেছেন চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চায়না সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, নতুন ধরনের এই সোয়াইন ফ্লু’র মানুষ্য শরীরে খাপ খাইয়ে সংক্রমণ ছড়ানোর মত প্রয়োজনীয় সব ধরনের নমুনা এবং সক্ষমতা রয়েছে।

চীনের ১০টি প্রদেশের অনেকগুলো কসাইখানা থেকে ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ হাজার শূকর থেকে লালা নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। একটি পশু হাসপাতালে এসব লালা বিশ্লেষণ করে ১৭৯টি সোয়াইন ফ্লু’র নমুনা আলাদা করা হয়। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই নতুন, ২০১৬ সালের সোয়াইন ফ্লু’র জীবাণুর সাথে সম্পর্কিত।

এর মধ্যে ‘জি৪’ মহামারির কারণ হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভাইরাসটি ইঁদুরসহ বিভিন্ন প্রাণীর ওপর এ ফ্লু’র পরীক্ষা চালানো হয়। বিশেষ করে জ্বর, কাশি এবং হাঁচির ক্ষেত্রে এসব প্রাণীর বৈশিষ্ট্য অনেকটা মানুষের মতোই।

তাতে দেখা গেছে. ‘জি৪’ ফ্লু খুবই সংক্রামক। এমনকি এটা ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর চেয়ে মানুষের শরীরের কোষে প্রভাব ফেলতে পারে অনেক বেশি।

আরও পড়ুনঃ  পাঁচ বছরে ইঁদুরের পেটে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টন ফসল

পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, মৌসুমি ফ্লুতে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরে যে ধরনের ইমিউনিটি লাভ করে তা ‘জি৪’ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াকে কোন বাধা দিতে পারে না।

এই ব্যাপারে গবেষকদের একজন জানান, এটা উদ্বেগের ব্যাপার যে, জি৪ ভাইরাসের মানুষের শরীরে সংক্রমণ বৈশিষ্ট্যে বোঝা যাচ্ছে, এটা মানুষের শরীরে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। আরও একটি মানব মহামারির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন