গাজীপুরে আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি মহোদয়ের সহধর্মিনী লায়লা আরজুমান্দ বানুর (৭১) নামাজে জানাজা সোমবার (২৯ জুন) বাদ জোহর জয়দেবপুর কবরস্থান মসজিদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে জয়দেবপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য দলীয় নেতা কর্মীরা মরহুমার বিদেহী আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, গাজীপুর -৪ আসনের এমপি সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম । এছাড়াও গাজীপুরের আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
দীর্ঘ ২০ দিন করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এড. আ ক ম মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সোমবার ২৯ জুন সকাল পৌনে ৮টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সি এমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
করনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ জুন মন্ত্রী এবং মন্ত্রীর স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু সিএমএইচে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেলেও লায়লা আরজুমান্দ বানুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন ।
১৯৪৯ সালের ৬ জানুয়ারি লায়লা আরজুমান বানু গাজীপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শেখ মোবারক জান এবং মাতার নাম লাল বানু। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ লায়লা আরজুমান বানু ১৯৭৪ সালের ১৬ এপ্রিল আ ক ম মোজাম্মেল হকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। লায়লা আরজুমান বানু ২ মেয়ে, এক ছেলে এবং ৬ জন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছে।
আনন্দবাজার/শাহী