সম্প্রতি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতেও সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অর্থাৎ দিনে ১৮ ঘণ্টা রেস্তোরাঁ খোলা রাখতে চান মালিকরা। সেই সাথে করোনায় রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ রবিবার (২৮ জুন) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এসব দাবি করা হয়।
মালিকরা জানান, সরকারি বিধিনিষেধ না থাকলেও পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখতে দিচ্ছে না। এতে করে করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রেস্টুরেন্টগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখে পড়েছে। এমনকি বাধ্য হয়ে অনেকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছেন। এতে বেকার হচ্ছেন শ্রমিক। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে চান তারা।
অনলাইনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন- সংগঠনটির মহাসচিব আর কে সরকার। তিনি জানান, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই রেস্তোরাঁগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কমতে থাকে। এই কারণে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ক্রেতা একেবারেই শূন্যে নেমে আসে। এতে রেস্তোরাঁর মালিকরা বড় সংকটে পড়েছেন। কষ্টে রয়েছেন শ্রমিকেরা।
সমিতির পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো:
# সাধারণ ছুটি নিয়ে গত ২৮ মে জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে খাদ্য, খাবার এবং সেবার সাথে ‘হোটেল-রেস্তোরাঁ’ খাত স্পষ্ট করা।
# করোনাকালে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির যে বিল জমবে তা ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ হারে আদায় করা। সেই সাথে বর্তমানে বকেয়া বিলের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা।
# পোশাক খাতের মতো স্বল্প সুদে রেস্তোরাঁ মালিকদের ঋণ সহায়তা দেওয়া।
# সরকার নিম্ন আয়ের মানুষকে যে সহায়তা দিচ্ছে তার আওতায় রেস্তোরাঁ শ্রমিকদেরও সহায়তা দেয়া।
# বাজেটে করোনাকাল এবং প্রভাবকালীন সময়ের জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং দই-মিষ্টি খাতকে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দেয়া।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে