শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে রেজাউলের ‘মুক্তি আইসোলেশন সেন্টারের’ যাত্রা শুরু

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্দ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার তুলাতলীতে কোভিড-নন কোভিড রোগীদের জন্য ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে প্রস্তাবিত ১০০ শয্যা বর্তমানে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৭ জুন) (প্রস্তাবিত ১০০ শয্যা) বর্তমানে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (এম.পি)।

এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিকের উপরে মারা গেছে। দেশের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে বলেই করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা লক্ষাধিক পার হলেও দেশে মৃত্যুর হার কম। এতেই প্রমাণিত হয়, দেশে এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। এতে এটা প্রমাণিত হয়ে যে আমরা সচেতন আছি, অন্যান্য দেশ থেকে আমরা সামাজিকভাবে সচেতনতায় এগিয়ে আছি। চট্টগ্রামের হাসপাতালের সংখ্যা কম উল্লেখ করে তিনি নগরবাসীকে অসুস্থ হলেই হাসপাতালে না ছুটে আগে আইসোলেশন সেন্টারে আসার আহবান জানান।

উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আরো বলেন, ‘রেজাউল করিম চৌধুরী এখনো রাষ্ট্রীয় কোন দায়িত্বে না থেকেও এগিয়ে এসেছেন। এটা অনেক বড় মানসিকতার পরিচয়। তার কাছে আবেদন থাকবে, তিনি নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে যেন একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেন। সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই প্রথম স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উদ্যোগ নিয়েছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আরবান হেলথ কেয়ার করেছেন।আমি অনুরোধ করবো রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচিত হলে যেনো সে ধারা অব্যাহত রাখেন।’

আরও পড়ুনঃ  আজ সরকারি অফিস খুলেছে

উদ্বোধনকালে “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্দ্যেক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের যে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো আছে সেগুলো সরকারের এত নির্দেশনার পরও মানুষের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করছে না। রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছে। এসব দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। নিজে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করেছি এ সময় মানুষের জন্য কিছু করা দরকার। এ জন্য উদ্যোগটি নিয়েছি। যাতে মানুষকে অক্সিজেনসহ ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা টুকু দিতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আইসোলেশন সেন্টারে কোভিড রোগীদের পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হবে। অনেক সময় মানুষ ছোটখাটো কিছু সমস্যার জন্য ডাক্তার খুঁজে পায় না। তাই আমরা বাইরে একটা হেল্প ডেস্ক বসাচ্ছি। সেখানে নন-কোভিডদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে।’

এই আইসোলেশন সেন্টার করতে যারা সার্বিকভাবে সহায়তা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানান এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন