বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানেন। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে লকডাউন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে সব জায়গায়। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে এ ব্যাপারে প্রচুর গণসচেতনতা কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে। কার্যকর লকডাউন এর ফলে চীন, ইউরোপ এক প্রকার সফল বলা যায়। আমেরিকা মোটামুটি সফল। আর্থিক ও বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় অনেক দেশে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে। যদিও এখনো কোনো কার্যকর ভ্যাকসিন আবিস্কার হয় নি। তাই গবেষকরা আশঙ্কা করছেন দ্বিতীয় দফায় আবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারে বিশ্ব।
এমন একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও কার্যকর লকডাউন দেওয়া হয়েছিলো, যদিও তা অকার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তবুও সংক্রমণ ও আক্রান্তের দিক দিয়ে বিশ্বে ১ম সারির দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশে এখন কোভিড- ১৯ এর আক্রান্তের হার উর্দ্ধমুখী।
বাংলাদেশের বর্তমান এমন পরিস্থিতিত দেখে যা মনে হচ্ছে তার দায়ভার যতটুকু সরকারের দোষ, ঠিক তেমনি দোষ সচেতন নাগরিক দাবি করা অসচেতন মানুষদের। সচেতনতার দোহায় দিয়ে তাদের পথে ঘাটে সাংগঠনিক মিটিং করতে দেখা যায়। অথচ কোন কার্যকর প্রটেকশন নিতে দেখা যায় না, সামাজিক দূরত্বের কথা তো পরে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন করে সচেতন ভাবে থাকার জন্য যেমন প্রচার করা হচ্ছে ঠিক সেভাবে তাদেরও উচিত নিজেদেরকে সচেতন রাখা।
এছাড়াও রয়েছে যেখানে সেখানে বসে আড্ডা দেওয়া, চা পান, হোটেলে অযথা সময় অবস্থান, অযথা অকারণে বাইরে বের হওয়া এগুলো সব কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এর জন্য যথেষ্ট।
বাংলাদেশ সরকার এই সব যতদিন কনট্রোল করতে পারবে না ততদিন এই দেশ থেকে করোনা সমূলে উৎপাটন কোন দিন সম্ভব না। তাই সচেতন নাগরিক ও সংগঠন এর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাবো। দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলে দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।
লেখক: মোঃ ওমর ফারুক ফরহাদ
সোশ্যাল ওয়ার্কার