করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী চাকরি হারাচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। কর্মক্ষেত্রে আসছে বিশাল ধরনের পরিবর্তন। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে বদলে নিতে হবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে
এ সময়ে ছাঁটাই থেকে রেহাই পেতে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলতে হবে। এর জন্য বাড়াতে হবে কিছু দক্ষতা ও গুণ। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু বিষয়, যাতে আপনি নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারবেন বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী।
মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা
লকডাউনের পরেও অনেক প্রতিষ্ঠান হোম অফিস সংস্কৃতি চালিয়ে যাবে। এ ছাড়া আসতে পারে কাজের সময় আর কর্মপদ্ধতিতে নানা পরিবর্তন। হয়তো কিছু কিছু কাজের দরকার আর থাকবে না, সে জায়গায় নতুন ধরনের কাজ করতে হবে। টিকে থাকতে হলে কর্মক্ষেত্রের এই পরিবর্তন মেনে নেওয়া ও তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও মানসিকতা আপনার থাকতে হবে।
প্রযুক্তিকে গ্রহণ করা
বর্তমানের বেশিরভাগ কাজই প্রযুক্তি নির্ভর। এর মধ্যেও নতুন নতুন বিভিন্ন প্রযুক্তি আসছে কর্মক্ষেত্রে। এসব প্রযুক্তিকে সাদরে গ্রহণ করতে না পারলে ঘটবে বিপত্তি। সেসব প্রযুক্তি যদি দ্রুত শিখে নিতে না পারেন, চাকরির বাজারে আপনি কিন্তু আনফিট!
নতুন দক্ষতা অর্জন
আপনি হয়ত বিশেষ একটা অথবা দুইটা কাজ খুব ভালো পারেন। কিন্তু এই অল্পবিস্তর কাজের জন্য আপনার চাকরিতে টিকে থাকার সম্ভাবনা কম! এক্ষেত্রে আপনি যদি একাধিক কাজ খুব ভালো পারেন, সেক্ষেত্রে চাকরির দৌড়ে এগিয়ে যাবেন অনেকটাই। তাই একটা কাজে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখবেন না, নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের দিকে মন দিন।
সৃজনশীলতা
ভবিষ্যৎ যতই প্রযুক্তিনির্ভর হোক, ব্যক্তির সৃজনশীলতাই পার্থক্য গড়ে দিবে কর্পোরেট দুনিয়ায়। মনে রাখতে হবে যন্ত্র কখনও মানুষকে ছাপিয়ে যেতে পারে না! তাই সৃজনশীলতা, নতুন অভিনব চিন্তা কখনওই পুরোনো হওয়ার নয়। তাই আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে সৃজনশীলতাকে শাণিত করায়।
বিশ্লেষণী ক্ষমতা
সৃজনশীলতার পাশাপাশি বিশ্লেষণী ক্ষমতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান প্রেক্ষাপটে। মহামারীর পর যেহেতু আগের অনেক ধারণাই বদলে যাবে, তাই কোনও নতুন ধারণা বা পদ্ধতি কতটা উপযুক্ত হবে, তা বিশ্লেষণ করতেই হবে। যেকোন কাজের আগে এবং পরে সেটা খুব সুন্দর করে বিশ্লেষণ করতে জানলে তবেই এগিয়ে থাকবেন দৌড়ে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস