বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব নেমেছে অর্ধেকে

করোনার প্রভাবে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) ১১ মাসে (জুলাই- মে) রাজস্ব আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে বলে জানা গেছে। করোনা মহামারিতে এ পথে ভারতের সাথে টানা আড়াই মাস আমদানি বন্ধ ছিল। আর এতেই রাজস্ব আয় নেমে আসে অর্ধেকে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ৬ হাজার ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয় বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে। চলতি এ অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয় ৫ হাজার ৬০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

কিন্তু এসময় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আদায় করে মাত্র ২ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা। তবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৮ মে.টন।

এই ব্যাপারে বেনাপোল ট্যান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী জানান, পণ্য ছাড়করণের বৈধতার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করায় আমদানি কমে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। এতে দিন দিন রাজস্বের ঘাটতি বেড়ে যাচ্ছে ।

বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানিয়েছেন, গত আড়াই মাস এ পথে আমদানি বন্ধ ছিল। এতে রাজস্ব ঘাটতি আরও বেশি হয়েছে। এই বন্দরে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে এর অবকাঠামোর উন্নয়ন বাড়াতে হবে। তাছাড়া এই বন্দরে বার বার রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড ঘটায়  অনেক ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে বর্তমানে পথে বসেছেন। এমনকি বন্দর তাদের কোন ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় তারা এ বন্দর ছেড়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  গ্রামীণফোনের রিট আবেদনে নতুন বিধিনিষেধ

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

 

সংবাদটি শেয়ার করুন