করোনায় দেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। করোনা রোধ করতে নেওয়া হয়েছে নানা কার্যকর পদক্ষেপ। তবুও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় নিজের জীবন বাজি রেখে যারা এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যেও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক। সম্প্রতি জানা গেছে, গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মারা গেছেন আরও ৪ জন চিকিৎসক।
মারা যাওয়া ওই চার চিকিৎসক হলেন ফিরোজা বেগম মিনু, এস এম সাইফুল ইসলাম, ইউনুস আলী খান এবং শহীদুল আনোয়ার।
দেশে এই নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের মৃত্যু হল মোট ৫৩ জনের। তবে এর মধ্যে ৪৭ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং বাকি ৬ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
বিএমএর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশের ১ হাজার ২৬৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন রাজধানীর চিকিৎসকেরা। ঢাকায় গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩৮ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকার তিনটি বড় সরকারি হাসপাতালেরই ৩৪৭ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০ জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে আছেন ৫৬ জন।
ঢাকায় এত চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিএমএর করোনা প্রতিরোধ এবং সহায়তা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ঢাকায় হাসপাতাল-ক্লিনিক এবং রোগী—দুটোই বেশি। তাই দেশের অন্য স্থানের চেয়ে ঢাকায় বেশি চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।
শুধু চিকিৎসকরাই নন তাদের পাশাপাশি নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৯ জন নার্স এবং ১ হাজার ৬২৮ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে বিএমএর কাছে আক্রান্ত চিকিৎসকের হালনাগাদ হিসাব থাকলেও এদের মধ্যে কতজন চিকিৎসাধীন আছেন এবং কতজন সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন, তার সঠিক কোন হিসাব নেই। কিন্তু বিএমএ জানিয়েছে, আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে তাঁদের প্রায় সবাই আবার কাজে যোগ দিয়েছেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে